Fake Mustard oil: বাজারে ছেয়ে গিয়েছে ভেজাল সর্ষের তেল। তেলের রমরমা। একই ঝাঁঝ একই রঙ! আসল নকল চেনার উপায় নেই! প্রতিদিন এমনই হাজার হাজার লিটার ভেজাল সর্ষের তেল বাজারে ঢুকছে। তাই আবার রমরমিয়ে বিকোচ্ছে খোলা বাজারে। আবার কখনও নামি দামী ব্র্যান্ডের মোড়কে বিক্রি হচ্ছে সেই ভেজাল তেল। কিন্তু জানেন কী এই ভেজাল সর্ষের তেলেই ওঁত পেতে লুকিয়ে রয়েছে বড়সড় বিপদ। হতে পারে মৃত্যুও।
সরষের তেল ছাড়া বাঙালি রান্নাঘর একেবারে অসম্পুর্ণ। সরষের তেলের ঝাঁঝ ও গন্ধে জমে ওঠে বাঙালি রান্নার আসল মজা। কিন্তু সেটা হয় যদি হয় ভেজাল তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ডেকে আনতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ। চিকিৎসকদের দাবি ভেজাল সরষের তেল শরীরে বিষের সমান। শরীরের জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। সম্প্রতি একাধিক গবেষণা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত আলোচনায় উঠে এসেছে, ভেজাল সরষের তেল হৃদরোগ, লিভারের রোগ এবং এমনকী ক্যানসারের মত প্রাণঘাতী রোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।
বিশিষ্ট চিকিৎসক সৌম্যজিৎ গুহ জানিয়েছেন, বাজারে পাওয়া অনেক নকল সরিষার তেল দেখতে যেমন আসল,তেমনই ঝাঁঝে-গন্ধেও-রঙেও পার্থক্য করা কঠিন। কিন্তু এর মধ্যে যে সকল ক্ষতিকারক রাসায়নিক ও কৃত্রিম রঙের মেশানো থাকে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কথায়, ভেজাল সরিষার তেলে যে সকল রাসায়নিক মেশানো থাকে তাতে পেটে জল জমে পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায় অনেকে ক্ষেত্রেই। ১৯৯৮ সালে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে এই রোগে ৬০ জনের মৃত্যু হয় এবং প্রায় ৩ হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হন। এছাড়াও, ভেজাল তেলের কারণে হৃদযন্ত্রের পেশীতে চর্বি জমার সম্ভাবনা দেখা দেয়, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে।
পাশাপাশি লিভার সিরোসিস পর্যন্ত হতে পারে বলে দাবি চিকিৎসকদের। এছাড়া বদহজম, পেটের গ্যাস, হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ভেজাল সরষের তেলের ক্ষতিকারক রাসায়নিক হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের জন্য ভেজাল সরষের তেল নানান শারীরিক জটিলতা তৈরি করতে পারে।