Air India Ahmedabad crash: এয়ার ইন্ডিয়ার ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (NTSB)-এর চেয়ারপার্সন জেনিফার হোমেন্ডি। Air India দুর্ঘটনা নিয়ে 'আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়' জল্পনা 'অনুমানভিত্তিক', বললেন US NTSB প্রধান।
তিনি বলেন, “এই প্রতিবেদনগুলি অনুমানভিত্তিক ও বিভ্রান্তিকর"। পাশাপাশি ভারতের এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB) সম্প্রতি তদন্ত নিয়ে অযাচিত জল্পনা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে, সেই আহ্বানকেও সমর্থন করেছেন তিনি।
প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে 'দোষী' নির্ধারণ ঠিক নয়
মার্কিন সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি প্রকাশিত কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয়, ১২ জুন আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ পাইলটদের 'ইচ্ছাকৃত ত্রুটি'। সেদিনের সেই বিমান দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে ২৪১ জন এবং পাশাপাশি আরও ১৯ জন নিহত হন। হোমেন্ডি সাফ জানিয়েছেন, “এই ধরনের বড়সড় তদন্তে সময় লাগে। ভারতের AAIB-এর প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট মাত্র প্রকাশিত হয়েছে। এখনও তদন্ত চলছে, এবং এ পর্যায়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায় না। সব প্রশ্নের উত্তর তদন্ত শেষেই মিলবে।”
AAIB-এরও কড়া প্রতিক্রিয়া
AAIB-এর ডিরেক্টর জেনারেল জি ভি জি যুগন্ধর বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানান, “আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের একাংশ বেছে নেওয়া ও যাচাই না-করা তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে। এটি অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন। এই মুহূর্তে জনমনে আতঙ্ক বা সন্দেহ তৈরি করা একেবারেই উচিত নয়।” তিনি আরও বলেন, “প্রাথমিক রিপোর্ট শুধুই জানিয়েছেন কী ঘটেছে, কেন ঘটেছে তার ব্যাখ্যা এই রিপোর্ট দেয় না। মূল কারণ ও সুপারিশগুলি চূড়ান্ত রিপোর্টে প্রকাশ করা হবে।”
'Transitioned' শব্দ ঘিরেই বিতর্ক
AAIB-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিমানের টেক-অফের ঠিক পরেই মাত্র এক সেকেন্ডের ব্যবধানে দুইটি ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ 'RUN' থেকে 'CUTOFF' অবস্থায় চলে যায়, যার ফলে ইঞ্জিনে জ্বালানি পৌঁছনো বন্ধ হয়ে যায়।
তবে রিপোর্টে পরিষ্কার বলা হয়নি, এই সুইচগুলি কোনও পাইলট বন্ধ করেছেন কি না। 'Transitioned' শব্দটি ব্যবহার করায় অনেকেই ধরে নিচ্ছেন পাইলটদের দিকেই অঙ্গুলি নির্দেশ করা হয়েছে। যদিও তদন্ত এখনও চলছে।
উচ্চপদস্থ বিমান মন্ত্রকের আধিকারিক এবং বেসরকারি বিমান বিশেষজ্ঞদের মতে, এত দ্রুত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো উচিত নয়। এই তদন্তে এখনও বহু ধাপ বাকি। অনেক তথ্য এবং প্রমাণ সামনে আসতে বাকি রয়েছে।
তাঁরা বলেন, “এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, বোঝা কেন এবং কীভাবে ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ 'CUTOFF' অবস্থায় গিয়েছিল — এটি পাইলটের অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি, নাকি সফটওয়্যার, বা প্রযুক্তিগত কোনও ত্রুটি।”AAIB-এর পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, যতবার প্রয়োজন, প্রযুক্তিগত ও জনস্বার্থে প্রাসঙ্গিক আপডেট প্রকাশ করা হবে। তদন্ত চলছে 'সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে।