Air India Plane Crash Ahmedabad: আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে AAIB-এর প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, ১২ জুন আহমেদাবাদে দুর্ঘটনার মুখে পড়া এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার (VT-ANB) বিমানের থ্রটল কন্ট্রোল মডিউল (TCM) বিগত ছয় বছরে দু’বার বদল করা হয়েছে—একবার ২০১৯ সালে, এবং দ্বিতীয়বার ২০২৩ সালে।
TCM একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্লাইট সিস্টেম, যার মধ্যে থাকে ফুয়েল কন্ট্রোল স্যুইচ। এই সুইচের মাধ্যমেই ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহের গতি নির্ধারণ হয়। তদন্ত রিপোর্ট অনুসারে, টেকঅফের কিছুক্ষণ পরেই এই সুইচ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিক অনুমান।
কেন বদলানো হয়েছিল TCM?
সূত্র জানাচ্ছে, বোয়িং সংস্থার ২০১৯ সালের একটি নির্দেশিকার ভিত্তিতেই এয়ার ইন্ডিয়া দুটি বার TCM প্রতিস্থাপন করে। প্রথমবার ২০১৯ সালে এবং দ্বিতীয়বার ২০২৩ সালে, উভয় ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট নির্দেশ অনুসরণ করেই ড্রিমলাইনারে TCM বদল হয়।
AAIB প্রাথমিক তদন্তে কী বলছে?
AAIB (Aircraft Accident Investigation Bureau)-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, TCM বদল করা হলেও জ্বালানি কন্ট্রোল সুইচ বন্ধ হওয়ার ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। তবে সেই সুইচ হঠাৎ বন্ধ হওয়া এই দুর্ঘটনার একটি মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
এয়ারলাইন পাইলটস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (ALPAI) এই তদন্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের অভিযোগ, শুরু থেকেই তদন্তে পাইলটদের দোষারোপ করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা গোটা তদন্তকে পক্ষপাতদুষ্ট করে তুলতে পারে।
ALPAI-এর দাবি, নিরপেক্ষ, তথ্যনির্ভর এবং প্রযুক্তিগতভাবে গভীর তদন্ত হওয়া জরুরি, এবং দ্রুত কোনও সিদ্ধান্তে না পৌঁছনোই যুক্তিযুক্ত।