বিজেপি বিধায়ক হিরন চট্টোপাধ্যায় কি আদৌ অভিষেকের অফিসে গিয়েছিলেন? তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতির সঙ্গে তৃণমূল অফিসে সোফায় পাশাপাশি বসে বৈঠক করেছেন? যে ছবি রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। এবার বিধায়ক হিরন চট্টোপাধ্যায়ের ফ্যান ক্লাব একটি নতুন ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়ে আগের ছবিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সোশাল মিডিয়ায় শুধু হিরনের ছবিটি রয়েছে। ছবিতে আমি নেই। সেটা একেবারে নকল ছবি। যদিও এখনও পর্যন্ত এবিষয়ে হিরনের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
পুরানো ও নতুন ছবিতে কি আছে? আগে ছবিতে দেখা গিয়েছে পিছনে তৃণমূল কংগ্রেস লেখা ও ঘাসফুলের ছবি রয়েছে। হলুদ রঙের সোফায় এক দিকে বসে রয়েছেন খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরন চট্টোপাধ্যায় ও পাশের সোফায় বসে রয়েছেন তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি। যে ছবি নিয়ে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। নতুন ছবিতে দেখা যাচ্ছে অজিত মাইতি উধাও। সেখানে একটা ছোট কোল বালিস রয়েছে। পুরনো ছবিতে এই বালিস নেই। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডও বদলে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নাম ও প্রতীক নেই, রয়েছে পিভিআর লেখা। এই ছবি ভাইরাল হতেই ফের নয়া বিতর্ক শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন- অভিষেকের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা পাকা হিরণের? ঠিক কী বলতে চাইলেন মদন?
অজিত মাইতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'হিরনের ফ্যান ক্লাব এবার ছবি নিয়ে জালিয়াতি করছে। নকল করার মুন্সিয়ানা থাকার দরকার তো সেটাও নেই তাই ধরা পড়ে গিয়েছে। আমার ছবি, তৃণমূল লেখা ও প্রতীক উড়িয়ে দিয়ে ওরা একেবারে নীচু স্তরের জালিয়াতি করেছে। সোফায় ছোট কোল বালিস পাশে বসিয়ে দিয়েছে। অথচ ওই কোল বালিসটা ছিল না। ওরা কোর্টে যাচ্ছে না কেন?' তাহলে কি হিরন অভিষেকের অফিসে যায়নি?
অজিত মাইতির দাবি, 'একবার নয়, একাধিকবার গিয়েছে। সেদিন আমার সঙ্গে বসে আলোচনা করেছে। পাশের ঘরে অভিষেকের সঙ্গে বসে আলোচনা করেছে। অভিষেক বলেছেন, 'আমাদের যখন প্রয়োজন হবে তখন ডাকব, এখন আমরা দরজা খুলছি না। ঠিকআছে তোমার সব কথা শুনলাম, পরে আমরা ব্যাপরটা ভেবে দেখব।' আমার সঙ্গে কি হিরন আমার গাড়িতে গিয়েছিল। ওরা ওটাকে চাপা দেওয়ার জন্য এটা করছে।'
আরও পড়ুন- ভাঙড় আছে ভাঙড়েই! আরাবুলের বাড়ির পিছনেই মিলল বস্তাভর্তি তাজা বোমা
তৃণমূল অফিসে গিয়ে অজিত মাইতি বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক বা ছবি নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য হিরন এখনও পর্যন্ত করেনি। শনিবার রাতে বিজেপির একটা জনসভার ভিডিও টুইট করেছিল হিরন। ৪ ফেব্রুয়ারি কেশপুরে অভিষেকের জনসভার দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।