/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/02/anis-khan-father-sit.jpg)
আনিসের বাবা সালেম খানের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশ কর্তারা। ছবি- পার্থ পাল
ছাত্রনেতা মৃত্যুর তদন্তে নেমে আমতা থানার তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে হাওড়া জেলা পুলিশ। যদিও এই পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নয় আনিস খানের পরিবার। পুলিশের প্রতি শুরু থেকেই অনাস্থা দেখিয়েছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রের বাবা, দাদা। সেই অবস্থানেই অনড় রয়েছে খান পরিবার। মঙ্গলবার দুপুরে আনিস মৃত্যুর কিনারায় গঠিত সিটের দুই আধিকারিক আমতায় মৃত ছাত্রের বাড়িতে যান। তাঁদেরও একই কথা বলেছেন সালেন ও সাবির খান।
এদিন ডিআইজি সিআইডি মিরাজ খালিদ ও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ধ্রুবজ্যোতি দে সিট-য়ের তরফে আনিস খানের বাড়িতে যান। ঘুরে দেখেন এলাকা। বিভিন্ন তথ্য জোগাড় করেন। তোলা হয় ভিডিও।
আরও পড়ুন-আনিস-তৃণমূল যোগ: মুখ্যমন্ত্রীর দাবি অস্বীকার মৃতের বাবার, এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে পার্থ
এরপর, সিট সদস্যরা কথা বলেন মৃত ছাত্রনেতার বাবা ও দানার সঙ্গে। ঘরভর্তি ছিল আনিসের আত্মীয় ও প্রতিবেশীতে। আনিসের বাবার কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানতে চাওয়া হলে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। প্রকাশ্যেই পুলিশকর্তাদের সালেম খান বলেন, 'পুলিশই খুন করেছে। আবার পুলিশই তদন্ত করবে। এটা কেমন কথা। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারাই দোষীদের ধরবে? আমার পুলিশের উপর কোনও ভরসা নেই। এই খুনের তদন্ত শুধু সিবিআই-ই করতে পারে।'
আরও পড়ুন-‘আনিসের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল’, মমতার দাবি নিয়ে মুখ খুললেন মৃত ছাত্র-নেতার বাবা
পাল্টা মিরাজ খালিদ আনিসের বাবাকে জানান য়ে, পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সেটাই। অন্য়ান্য ঘটনায় জেলা পুলিশ তদন্ত করে। এক্ষেত্রে সিট গঠন করা হয়েছে। পাল্টা সালেম খানের যুক্তি, 'আমি দিদি মানি। কিন্তু সব জেনেও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই পুলিশকে উনি কীভাবে তদন্তের ভার দিলেন?'
আরও পড়ুন-পড়ুয়াদের মহাকরণ অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ, বহু আন্দোলনকারী গ্রেফতার
সোমবার আনিস খানের উদ্ধার হওয়া হাতের ঘড়ি পুলিশকে দেয়নি তাঁর পরিবার। এদিন সিট-কেও সেই ঘড়ি দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত ছাত্রনেতার অনড় পরিবারের রেকর্ড বয়ান করতে অসমর্থ হয় সিট সদস্যরা। অনেক বোঝানোতেও কাজ হয়নি। শেষে বিকেলে আনিসের বাড়ি ছাড়েন সিটের দুই তদন্তকারী।