Anubrata Mondal CBI Arrest Updates: গরুপাচার মামলায় বার বার তলব সত্ত্বেও হাজিরা দেননি অনুব্রত মণ্ডল। এবার তৃণমূল জেলা সভাপতির বোলপুরের বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁকে আটক করে সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকালে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তৃণমূল নেতার বাড়িতে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। দেড় ঘণ্টা জেরা করার পর আটক করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। বাড়ি চারদিক থেকে তখন ঘিরে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়ির সমস্ত গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
বিকেল সওয়া ৪টে নাগাদ কুলটির সরকারি গেস্ট হাউসে অ্যারেস্ট মেমোয় সই ককরানো হয় অনুব্রতকে। তারপরই তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় সিবিআই। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আদালতে। সন্ধ্যার মুখে পেশ করা হয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে। কিন্তু অনুব্রতর জামিনের আবেদ করেননি তাঁর আইনজীবী। আদালত চত্ত্বরে দোর্দদণ্ডপ্রতাপ নেতার গাড়ি থামতেই তাঁকে জুতো দেখানো হয়। ‘চোর চোর’ বলে স্লোগান ওঠে।
আরও পড়ুন- ‘চড়াম চড়াম’-‘গুড় বাতাসা’ থেকে ‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে’, একনজরে ৫ হিট কেষ্ট-বাণী
আরও পড়ুন- ‘অনুব্রতর টাকা ঘোরে ৭২ জনের কাছে’, নামের তালিকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে দেবেন অনুপম
বিচারক অনুব্রতকে তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা জানতে চান। জবাবে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি জানান, তাঁর ফিসছুলা রয়েছে। কিডনির অসুবিধা সহ নানা অসুস্থতা রয়েছে। সিবিআই অনুব্রত মণ্ডলের ১৪ দিনের হেফাজত চেয়েছিল।
আদালত অনুব্রত মণ্ডলের ১০ দিনের সিবিআই হেফাজত মঞ্জুর করে। এছাড়া, আলিপুর কমান্ড হাসপাতালকে আদালতের নির্দেশ, প্রতি ৪৮ ঘন্টাঅন্তর বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে কলকাতায় এনে গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে জেরা করবেন গোয়েন্দারা।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু, গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির গ্রেফতারির পরও কড়া পদক্ষেপ করতে পারল না। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সাফ বললেন, ‘দলের একটা সিস্টেম রয়েছে। শৃঙ্খলা-রক্ষা কমিটি রয়েছে। নেত্রী রয়েছেন। যথা সময়ে সব জানানো হবে।’ তার আগে তিনি বলেছেন, ‘কোনও অনৈতিক ও দুর্নীতিযুক্ত কাজকে দল প্রশ্রয় দেয় না। দুর্নীতিকে কোনও ভাবেই মেনে নেবে না দল। সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষের পক্ষে ক্ষতিকর এমন কোনও কাজ কোনও ব্যক্তি করলে, মানুষকে ঠকালে দল কোনও ভাবেই কাউকে সমর্থন করবে না।’ যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল ও মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়েছে তৃণমূল। তাহলে কী অনুব্রত ইস্যুতে বিভ্রান্ত রাজ্যের শাসক দল? প্রশ্ন উঠছে।
২০ অগাস্ট পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ আদালত।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু, গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির গ্রেফতারির পরও কড়া পদক্ষেপ করতে পারল না। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সাফ বললেন, 'দলের একটা সিস্টেম রয়েছে। শৃঙ্খলা-রক্ষা কমিটি রয়েছে। নেত্রী রয়েছেন। যথা সময়ে সব জানানো হবে।' তার আগে তিনি বলেছেন, 'কোনও অনৈতিক ও দুর্নীতিযুক্ত কাজকে দল প্রশ্রয় দেয় না। দুর্নীতিকে কোনও ভাবেই মেনে নেবে না দল। সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষের পক্ষে ক্ষতিকর এমন কোনও কাজ কোনও ব্যক্তি করলে, মানুষকে ঠকালে দল কোনও ভাবেই কাউকে সমর্থন করবে না।' যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল ও মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়েছে তৃণমূল। তাহলে কী অনুব্রত ইস্যুতে বিভ্রান্ত রাজ্যের শাসক দল? প্রশ্ন উঠছে। পড়ুন বিস্তারিত
অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরেই সুর চড়ালেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। ''অনুব্রত মণ্ডলের টাকা তাঁর বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত সদস্য, কয়েকজন ব্লক সভাপতি, সমাজকর্মী, ব্যবসায়ীর কাছে ঘোরে।'' বিস্ফোরক অভিযোগ অনুপমের। পড়ুন বিস্তারিত।
অনুব্রতর জামিনের আবেদ করলেন না তাঁর আইনজীবী। তবে বিচারক অনুব্রতকে তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা জানতে চান। জবাবে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি জানান, তাঁর ফিসছুলা রয়েছে। কিডনির অসুবিধা সহ নানা অসুস্থতা রয়েছে। সিবিআই অনুব্রত মণ্ডলের ১৪ দিনের হেফাজত চেয়েছে।
বাম-বিজেপিকে পতাকা হাতে এক সারিতে দাঁড় করালেন অনুব্রত। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আালতের বাইরে পতাকা হাতে ভিড় বাম ও বিজেপি কর্মীদের। ‘চোর-চোর’ স্লোগানে কাঁপছে গোটা আদালত চত্বর। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারিতে এক যোগে ‘চোর-চোর’ স্লোগান বাম ও বিজেপি কর্মীদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম দশা উপস্থিত পুলিশকর্মীদের। পড়ুন বিস্তারিত
ভোট হোক বা রাজ্যের ঘটনাবহুল নানা বিষয়- অনুব্রত মণ্ডল মুখ খুললেই হিট। বেশিরভাগ সময়ই সেসব বাণী ঘিরে নানা বিতর্ক হত। শাসক থেকে বিরোধী শিবির জোর চর্চা করত। কিন্তু, অবিচল থাকতেন মমতা প্রিয় 'কেষ্ট'। আজ সেই বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিই গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই জালে। তারপরই আনন্দে মেতেছে বিজেপি। রাজ্যের নানা প্রান্তে চলছে গুড়বাতাসা, নকুলদানা বিলি। একজনরে কেষ্টর পাঁচ বিতর্কিত হিট বাণী
আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে নিয়ে আসা হল অনুব্রত মণ্ডলকে। গরু পাচারকাণ্ডে আজই তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গ্রেফতারের পর তেকেই মুখ কুলুপ কেষ্টর।
অনুব্রতকে নিয়ে শীতলপুরের গেস্ট হাউসে সিবিআই আধিকারিকরা। এখানেই জেরা করা হতে পারে তৃণমূল নেতাকে।
কুলটির ইসিএলের শীতলপুর গেস্ট হাউসে অনুব্রত মণ্ডলকে রেখেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানেই বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে গরু পাচারকাণ্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর।
ইডির হাতে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পরই গেরুয়া শিবিরে উচ্ছ্বাসের ছবি। কলকাতা থেকে দুই মেদিনীপুর, বর্ধমান, এমনকী অনুব্রতর খাসতালুক তাঁর নিজের জেলা বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় গুড় বাতাসা, নকুলদানা বিলি করা হচ্ছে। হাসিমুখে সেগুলি বিলি করছে বিজেপি কর্মীরা।
বঙ্গ রাজনীতিতে ‘গুড় বাতাসা’ তত্ত্বের জনক অনুব্রত মণ্ডল। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের সময় বিরোধধী দলগুলি পার্থী মনোনয়ন জমা দিতে তৃণমূলের বাধা সহ প্রবল হিংসার অভিযোগ তুলেছিল। সেই সময়ই মমতার প্রিয় কেষ্ট বলেছিলেন, 'ব্লক অফিসে গুড় বাতাসা এবং জল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন দলীয় কর্মীরা। গরমে কেউ মনোনয়ন জমা দিতে গেলেই গুড়বাতাসা ও জল খাওয়ানো হবে।' ২০১৯ সালের লোকসভার সময় 'নকুলদানা' তত্ত্বের কথা বলেছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। বলেছিলেন 'নকুলদানা খেলে আঙুল অন্য কোথাও যাবে না।'
ইডি-র স্ক্যানারে রাজ্যের আট আইপিএস অফিসার। জানা গিয়েছে, ১৫ অগাস্টের পর এঁদের দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে তলব কথা করা হয়েছ। প্রত্যেককে আলাদা আলাদা করে ডাকা হয়েছে। পড়ুন বিস্তারিত
অনুব্রতকে আসানসোলের ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে। মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হল তৃণমূল নেতার জন্য।
অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে আসানসোলের পথে চলেছে সিবিআই কনভয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আজই তোলা হতে পারে আদালতে। তবে গন্তব্য কোথায় তা নিশ্চিত নয়।
আসানসোলের ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে অনুব্রত মণ্ডলের। তার পর আজই হয়তো আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে মমতার কেষ্টকে।
অনুব্রতকে গ্রেফতারির ঘটনায় ফের অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির এক মাসের মধ্যে আরেক হেভিওয়েট নেতার গ্রেফতারি। অনুব্রত ইস্যুতে কি পাশে থাকবে দল না কি পার্থর মতো কড়া ব্যবস্থা নেবে সেটাই দেখার।
অনুব্রত মণ্ডলকে দুর্গাপুরের ক্যাম্প অফিসে নিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। সেখানে জেরা করা হবে তৃণমূল নেতাকে।
গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে বোলপুরের বাড়ি থেকে বের করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। আজই তোলা হবে আসানসোলের আদালতে।
বোলপুরে নীচুপট্টির বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীরা। তাঁদের বাইরে রেখে বাড়ির গেটে ভিতর থেকে তালা দিয়ে দিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এলাকায় গিজ গিজ করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
গরু পাচারকারীদের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে অনুব্রতর। পাচারের টাকা আসত তাঁর কাছে, তদন্তে দাবি সিবিআইয়ের।