Anubrata Mondal: তিহার জেলে দু’বছর কাটালেও প্রভাব প্রতিপত্তিতে এতটুকুও ভাটা পড়েনি। পুজোর আগে তিহার জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি তাঁর কন্যা সুকন্যাকে সঙ্গে নিয়ে তারাপীঠের তারা মায়ের মন্দিরে পুজো দেন তিনি। আর মঙ্গলবার বছরের শেষ দিনে তিনি তাঁর প্রয়াত স্ত্রীর ছবি হাতে নিয়ে মেয়ের সাথেই পুজো দিলেন সতীপীঠ হিসাবে পরিচিত পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রামের দেবী যোগাদ্যা মায়ের মন্দিরে।দেবীর কাছে কি প্রার্থনা রাখলেন তা অবশ্য তিনি স্পষ্ট না করেন নি। তবে নিজের খাস তালুকের তৃণমূল কর্মীদের প্রধান অভিভাবক হয়ে থাকতে অনুব্রত যে মরিরা তা তিনি তাঁর বক্তব্যেই এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
বাংলাদেশিদের অবাধ আশ্রয় এরাজ্য, বছরের প্রথম দিনেই বিরাট পর্দা ফাঁস
তিহার জেল থেকে বেরিয়ে বোলপুরের বাড়িতে পৌছে অনুব্রত মণ্ডল বুঝেছিলেন তাঁর আধিপত্য বেশ নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে । তার মধ্যে কাজল শেখ বীরভূমের মাটিতে তাঁর রাজনৈতিক আধিপত্য অনেকটাই কায়েম করে বসে। তার পরিপ্রেক্ষিতে তলে তলে প্রকট হয়েছে কেষ্ট ও কাজল দ্বন্দ্ব। সেই আবহেই মঙ্গলবার যোগাদ্যা মায়ের মন্দির চত্ত্বরে দাঁড়িয়ে অনুব্রত দাবি করলেন, আগের মতই তিনিপূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট,কেতুগ্রাম ও আউশগ্রাম বিধানসভার তৃণমূলের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকবেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, মঙ্গলকোটের মাটি খুবই শক্ত। দীর্ঘ দুবছর পর মঙ্গলকোটের মাটিতে পা রেখে আমার খুবই ভালোই লাগছে।
কল্পতরু উৎসবে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় দক্ষিণেশ্বরে, নয়া সাজে মা ভবতারিণী
ধর্মীয় ব্যাখ্যা অনুযায়ী দেবী সতীর ৫১ পীঠস্থানের মধ্যে অন্যতম মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রাম। এখানকার মন্দিরের অদূরে ক্ষীরদিঘি নামে একটি জলাশয়ের জলের তলায় দেবী যোগাদ্যা মায়ের প্রস্তরমূর্তি সারাবছর রেখে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র বছরের বিভিন্ন মাস মিলে ৭ বার দেবীকে জল থেকে তুলে বিশেষভাবে পুজো করা হয়। বছরের যে নির্দিষ্ট ৭ দিন দেবী যোগাদ্যার মূর্তি তুলে পুজো করা হয় তার মধ্যে অন্যতম হল ১৫ই পৌষ। মঙ্গলবার ছিল সেই বিশেষ দিন । এই বিশেষ দিনে অনুব্রত তাঁর দল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সেকেন্ড ইন কমাণ্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গল কামনা করে যোগাদ্যা দেবীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে পুজো দেন। এদিন অনুব্রত মণ্ডলকে ভিন্ন মুডে দেখে মঙ্গলকোটের বাসিন্দারা বেশ অবাকই হয় ।
'চড়াম চড়াম' বা 'গুড় বাতাসা’ এমন কোন বিতর্কিত মন্তব্যে একবারের জন্যেও অনুব্রতর মুখে শোনা যায়নি । মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বলেন, কেষ্টদা তিহার জেলে যখন ছিলেন তখনও আমাকে যোগাদ্যা মায়ের পুজো দিতে বলেছিলেন। কেষ্টদা এখন জামিনে মুক্ত। আমার অনুরোধে কেষ্ট দা এদিন মায়ের মন্দিরে প্রতিষ্ঠা দিবসে পুজো দিতে এসেছিলেন। সকলের মঙ্গলকামনায় দেবীর কাছে তিনি পুজো দিয়েছেন।