বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ সীমান্তে 'ফ্ল্যাগ মিটিং' চলাকালীন বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যু ঘিরে এবার তৎপর হয়ে উঠেছেন ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের বিএসএফ আধিকারিকরা। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেনারা তিন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে তাঁদের হেফাজতে নেওয়ার পরেই এই 'ফ্ল্যাগ মিটিং' ডাকা হয়েছিল। ঘটনার পরই বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সেখানে ছুটে যেতেই আশঙ্কার মেঘ জমা হতে থাকে সীমান্ত ঘিরে।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মক্কায় প্রাণ হারালেন ৩৫ জন তীর্থযাত্রী
এই ঘটনার জেরেই বিজিবি সেনার গুলিতে প্রাণ হারান এক ভারতীয় সীমান্তরক্ষী (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ) বাহিনীর জওয়ান বিজয়ভান সিং। উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদে চামরোলি গ্রামের বাসিন্দা বিজয়ভান ১৯৯০ সালে বিএসএফে যোগদান করেন। বছর একান্নর বিজয়ভানের বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও দুই পুত্রও রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বিএসএফএর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, "বিএসএফের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আছেন। এই ঘটনার সূত্রপাত করেছে বিজিবি। তাদের গুলিতে আমাদের একজন সেনা নিহত হয়েছে এবং আরেক সেনা আহত হয়েছে। সীমান্ত অতিক্রম করে এই ধরনের গুলি চালনা একটি বিরল ঘটনা।"
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের নিরাপত্তা নিয়ে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত
এর আগে বিএসএফ আধিকারিকরা জানান, মুর্শিদাবাদ সীমান্তে টহলদারির সময় গুলির আঘাতে প্রাণ হারান বিএসএফের জওয়ান। বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সীমান্তে “অবৈধ কার্যকলাপ” রুখতেই টহলদারির ব্যবস্থা করেছিল বিএসএফ। প্রসঙ্গত, বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে বরাবরই সুসম্পর্ক বজায় থেকেছে, এবং দু’পক্ষের মধ্যে গুলি চালানোর ঘটনা আজ পর্যন্ত কখনও ঘটেনি।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনাটি নিয়ে বাংলাদেশের মেজর জেনারেল শফিনুল ইসলামের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন বিএসএফ প্রধান ভি কে জোহরি। পুরো ঘটনাটির তদন্ত করবে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষা বাহিনী, সেই আশ্বাসও বিএসএফ কর্তাকে দিয়েছেন বাংলাদেশের মেজর জেনারেল। যদিও এই ঘটনার পরই ৪,০৯৬ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ঢাকার তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় বিএসএফ জওয়ানরা বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে প্রায় ৫০০ গজ ঢুকে যাওয়ায় আত্মরক্ষার স্বার্থেই গুলি চালিয়েছিল বিজিবি।
আরও পড়ুন: ভারতের ইতিহাস নতুন করে লেখার ডাক দিলেন অমিত শাহ
অন্যদিকে, বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়, সীমান্তবর্তী পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তিন ভারতীয় মৎস্যজীবী। তাঁদের মধ্যে দু'জন ফিরে এসে কাকমারিচরের বিএসএফের শিবিরে যোগাযোগ করে জানান যে বিজিবি তাঁদের জোর করে ধরে নিয়ে যায়। বিজিবি এই দুই মৎস্যজীবীকে মুক্তি দিয়ে 'ফ্ল্যাগ মিটিং' এর জন্য আহ্বান জানায় বিএসএফকে, এমনটাই খবর।
Read the full story in English