Attacks on Hindu in Bangladesh: অশান্ত বাংলাদেশ, দিকে দিকে আক্রান্ত হিন্দুরা। ভাঙা হচ্ছে একের পর এক মন্দির। তবে এত কিছুর পরেও রাষ্ট্রসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মহম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, "বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।" এমনকী বাংলাদেশে ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে প্রত্যেক মানুষের স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চা এবং মত প্রকাশের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে বলেও দাবি করেছেন রাষ্ট্রসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম, এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম 'প্রথম আলো'-র প্রতিবেদনে।
মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু বারবার অত্যাচারিত-নিপীড়িত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের দিকে দিকে হিন্দু মহল্লায় হামলা-আক্রমণ চলছে। দিকে দিকে ভাঙা হচ্ছে মন্দির। গতকালও চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ISKCON-এর মন্দিরে ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। বাংলাদেশ হাইকোর্ট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, কোনও ভাবেই ইসকন নিষিদ্ধ হচ্ছে না। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সে দেশে সরকারকেও স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ হাইকোর্ট। বাংলাদেশের সংবাদপত্র 'প্রথম আলো'য় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাষ্ট্রসংঘে সে দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মহম্মদ আরিফুল ইসলাম দাবি করেছেন, সংখ্যালঘুরা এদেশে নিরাপদেই রয়েছে। বিদেশের সাংবাদিকরা চাইলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে যেতে পারেন। বাংলাদেশের কিছু কিছু জায়গায় অশান্তি হয়েছে, তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সরকারের (Sheikh Hasina) অবসানের পর বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অভিযোগ, ইউনুসের সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের দিকে দিকে সংখ্যালঘুদের ওপর অবর্ণনীয় অত্যাচার শুরু হয়। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম, রংপুর খুলনা সহ দিকে দিকে হিন্দু মহল্লায় আক্রমণ, হামলা আজও জারি রয়েছে। বেপরোয়া ভাঙচুর চলছে একের পর এক মন্দিরে।
আরও পড়ুন- EXCLUSIVE: বাংলাদেশে জেলবন্দি চিন্ময়কৃষ্ণ, আক্রান্ত হিন্দুরা, 'শেষ' দেখতে এবার কোন পথে ISKCON?
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের হয়ে আওয়াজ তুলেছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাস (Chinmoy Krishna Das)। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গোটা বাংলাদেশে একত্রে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন সংখ্যালঘু সমাজের মানুষজন। এরপর চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকেই গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের পুলিশ। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ আনা হয়েছে। চিন্ময়কৃষ্ণ দাস সহ ইসকনের আরও বেশ কয়েকজন সন্ন্যাসীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। চিন্ময়কৃষ্ণ দাস বর্তমানে সরাসরিভাবে ইসকনের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও আর যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়েছে তাদের অনেকেই ইসকনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ইসকনকে আর্থিকভাবে দুর্বল করতে বাংলাদেশ সরকার ওই সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।