Bangladesh Unrest:বাংলাদেশের দিকে দিকে হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ মহম্মদ ইউনুস নেতৃত্বাধীন সেদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে এবার সেদেশের সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানালেন BJP নেতা দিলীপ ঘোষ। "আমরা চাল-ডাল না পাঠালে তো খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে!" বাংলাদেশ সরকারকে এভাবেই আক্রমণ প্রাক্তন সাংসদের।
কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?
"আমরা যদি চাল-ডাল পাঠানো বন্ধ করে দিই, তাহলে তো খেতে পাবে না। ওদের চিকিৎসা থেকে শুরু করে বিয়ের বাজার, সব কিছুর জন্যই তো কলকাতায় আসতে হয়। হিন্দুদের উপর নির্যাতন বন্ধ না করলে এবার আমরা সীমান্ত আটকে দেব।"
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত সহ একাধিক দেশ। সংসদে খোদ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৈঠক করেছেন বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে। ভারতের তরফে একাধিকবার বিবৃতি প্রকাশ করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আবেদন করা হয়েছে। তবে এর পরেও এতটুকু ছবিটা বদলায়নি। বরং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন- Attacks on Hindus in Bangladesh: ওপার বাংলায় আক্রান্ত হিন্দুরা, জাতীয় পতাকার অসম্মান, বাংলাদেশের রোগী দেখবে না কলকাতার হাসপাতালে
আরও পড়ুন- West Bengal News Live:'অসুস্থ হলে তাঁকে সুস্থ করব না?', কলকাতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসা বন্ধের তুমুল বিরোধিতায় ফিরহাদ
এরপরেও রাষ্ট্রসংঘে সে দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মহম্মদ আরিফুল ইসলাম দাবি করেছেন, সংখ্যালঘুরা এদেশে নিরাপদেই রয়েছে। বিদেশের সাংবাদিকরা চাইলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে যেতে পারেন। বাংলাদেশের কিছু কিছু জায়গায় অশান্তি হয়েছে, তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আরও পড়ুন- Chinmoy Krishna Das: চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারিতে উত্তাল বাংলাদেশ, প্রতিবাদ এপার বাংলাতেও, সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ ইউনুস সরকারের?
এদিকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর চলা আক্রমণের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশের (Bangladesh) রোগী দেখা এবং তাঁদের ভর্তি করা বন্ধ করে দিল কলকাতার বিখ্যাত হাসপাতাল। মানিকতলার জে এন রায় হাসপাতালের তরফে রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশের রোগী তাঁরা দেখবেনও না ও তাঁদের ভর্তি ও করবেন না। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর চলা অবর্ণনীয় নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং সে দেশে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননার কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে বেসরকারি ওই হাসপাতালের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।