australian grass owl seen in malda: প্রায় ৫০ বছর পরে মালদায় গঙ্গার নদীর চরে দেখা মিললো অস্ট্রেলাসিয়ান গ্রাস আউলের। গত ৯ মার্চ পাখি পর্যবেক্ষকদের একটি দল মালদায় গঙ্গার চরে অস্ট্রেলীয় ঘাসপেঁচার ছবিটি তুলেছে। মালদা বন বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত চার মাসব্যাপী পাখি জরিপের ফলে এটি আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে। মালদা বন বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত জরিপের সময়, মালদা গ্রিন পিপলস ইন্ডিয়া এবং কলকাতার বার্ডওয়াচার্স সোসাইটির সহযোগিতায়, সন্দীপ দাস, স্বরূপ সরকার এবং সৈকত দাসের সঙ্গে ৯ মার্চ ২০২৫ তারিখে সন্দীপ দাস প্রথম এই প্রজাতির পাখির ছবি রেকর্ড করেছেন।
বনদফর সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে এই প্রজাতিটি পাখির খুব কমই রেকর্ড রয়েছে। ১৯৮০ সালে প্রকাশিত হয় যখন বিখ্যাত পাখি পর্যবেক্ষক অজয় হোম তার "চেনা ওচেনা পাখি" বইয়ে শান্তিনিকেতনে এর উপস্থিতির কথা উল্লেখ করেছিলেন।
মালদার বিভাগীয় বনাধিকারিক জিজু জেসফার জানিয়েছেন, ৯ থেকে ১১ মার্চ জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে বন বিভাগের একটি যৌথ দল বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের অবস্থান এবং উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য গঙ্গার চর পরিদর্শন করেন। সেখানেই এই ধরনের বিলুপ্ত প্রজাতির পাখি দেখা মিলেছে।
কেউ কেউ বলছেন প্রায় ১০০ বছর আগে ব্রিটিশ আমলে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, মালদা সহ বেশ কিছু এলাকায় দেখা মিলতো এই ঘাসপেঁচার, এমনটা নাকি বেশ কিছু নথিপত্রে উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত রবিবার হঠাৎ মালদার ফারাক্কা বাঁধের কাছে পাখি প্রেমীদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে তিনটি অস্ট্রেলীয় ঘাসপেঁচা। এদের খাদ্য বলতে মূলত ইঁদুর, ফড়িং, টিকটিকি এবং অন্যান্য পোকামাকড়।
আরও পড়ুন- Ghola Incident: কলকাতায় ফের আঁতকে ওঠার মতো নৃশংস কাণ্ড! ট্রলিতে রক্তাক্ত দেহ, ধৃত ২
এর আগে বহু কাল এদের দেখা যায়নি। মূলত বড় বড় ঘাসে ঢাকা জমি কিংবা নদীর চরে এরা থাকে। গত কয়েক দশকে বাংলার দিকে দিকে নদীর চরের মাটি কেটে সাফ করে দিচ্ছে দুষ্টচক্র। তেমনই বড় বড় ঘাসযুক্ত জমির পরিমাণও কমে আসছে। এসব কারণেই ঘাসপেঁচার মতো বিরল প্রজাতির পাখি প্রায় অবলুপ্তির পথে চলে গিয়েছিল বলে মনে করেন পাখি বিশারদরা। তবে এবার ফের তাদের নতুন করে দেখতে পাওয়ায় আশায় বুক বেঁদেছেন পাখিপ্রেমীরা।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live:যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালে 'আজাদ কাশ্মীর' গ্রাফিতি, পুরোদমে চলছে তদন্ত, ডাকা হতে পারে কাদের?