Ayodhya Ram Mandir: অযোধ্যার রাম মন্দির সেজে উঠছে ৪৫ কেজি সোনায়, বিরল এই সৌন্দর্য দেখতে উৎসাহী লাখো ভক্ত। অযোধ্যা রামমন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে শীঘ্রই দরবার দর্শন শুরু হবে।
অযোধ্যার সুবিশাল রাম মন্দিরে এখন পর্যন্ত মোট ৪৫ কেজি খাঁটি সোনা ব্যবহার করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা। মন্দিরের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে চলছে এবং মন্দিরের বিভিন্ন অংশ সোনা দিয়ে সাজানো হচ্ছে।
অযোধ্যার রাম মন্দিরের নিয়ে মানুষের উন্মাদনার যেন শেষ নেই। দূরদূরান্ত থেকে লাখো ভক্ত মন্দির প্রাঙ্গনে ভিড় করছেন স্রেফ একবার রামলালা দর্শন ও মন্দিরের অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে। যেদিকেই চোখ যাচ্ছে, বিশ্বাস এবং মহিমার এক অপূর্ব সমন্বয় চোখে পড়ে। ভক্তদের অনুভূতি এবং ভক্তির কথা মাথায় রেখে, মন্দিরে এখন পর্যন্ত ৪৫ কেজি খাঁটি সোনা ব্যবহার করা হয়েছে। রাম লালার সিংহাসন থেকে শুরু করে মন্দিরের দরজা পর্যন্ত সবকিছুই এখন সোনার মোড়ানো।
মন্দিরে ৪৫ কেজি সোনা, যার মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অযোধ্যার সুবিশাল রাম মন্দিরে এখন পর্যন্ত মোট ৪৫ কেজি খাঁটি সোনা ব্যবহার করা হয়েছে। এই সোনার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা বলে জানা গেছে। মন্দিরের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে চলছে এবং মন্দিরের বিভিন্ন অংশ সোনা দিয়ে সাজানো হচ্ছে। তথ্য প্রদান করে রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেন যে, এই কাজ সম্পূর্ণরূপে দাতাদের সাহায্য এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে করা হচ্ছে।
রাম মন্দিরের নিচতলার প্রতিটি দরজায় দেওয়া হয়েছে সোনার প্রলেপ। এছাড়াও, রাম লালার সিংহাসনও সম্পূর্ণ সোনা দিয়ে সাজানো হয়েছে। এই কাজটি করার জন্য, বিশেষ কারিগরদের সাহায্য নেওয়া হয়েছে, যারা ধর্মীয় অনুভূতির সঙ্গে দিনরাত তাদের সুনিপুন শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তোলার জন্য প্রাণপাত করছেন। বাস্তু ও শাস্ত্র অনুসারে মন্দিরের নির্মাণ কার্য যাতে সম্পুর্ণ করা যায় তার দিকেও বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।
রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র আরও বলেন, এই মন্দির কোনও মানুষের চিন্তাভাবনায় কেবল নয় সেই সঙ্গে ঈশ্বরের ইচ্ছায় নির্মিত হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের অনেক মানুষ মন্দির নির্মাণে সাহায্য করেছেন। যা একটি অলৌকিক ঘটনা থেকে কম কিছু নয়। নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, এত বড় মন্দির কেবল যন্ত্র এবং কারিগরি দিয়ে তৈরি করা সম্ভব নয়। মানুষের বিশ্বাস এবং ঈশ্বরের আশীর্বাদও মন্দির নির্মাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
রাম মন্দির দর্শনে আসা ভক্তদের জন্য আরও একটি সুখবর। নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেন, রাম দরবার দর্শনও শীঘ্রই শুরু হবে। দর্শনের ব্যবস্থা যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়, তার জন্য বিশেষ পাস জারি করা হবে। মন্দির প্রাঙ্গণে ভিড়ের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্য সকল ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভক্তদের মধ্যে উৎসাহের পরিবেশ বিরাজ করছে এবং সকলেই রাম দরবারের মহা দর্শনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।