Ram Mandir VHP: পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) উদ্যোগে অযোধ্যায় যাচ্ছেন প্রায় ৬ হাজার ভক্ত। তাঁদের মধ্যে থাকছেন করসেবক, তাঁদের পরিবার, ভিএইচপির কার্যকর্তারা। অযোধ্যায় গিয়ে রামমন্দির দর্শন, সূর্য নদিতে স্নান করবেন তাঁরা। সংগঠনের দক্ষিণ বঙ্গ, মধ্য বঙ্গ ও উত্তর বঙ্গে থেক ২ হাজার জন করে যাবেন। তিনটি ট্রেনে তাঁরা অযোধ্যায় পৌঁছোবেন।
রাম মন্দিরকে (Ram Mandir) কেন্দ্র করে শুধু অযোধ্যা (Ayodhya) নয়, দেশ জুড়ে নানা রঙিন কর্মসূচি নিয়েছে হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠন। ইতিমধ্যে বাড়ি বাড়ি প্রসাদ ও আমন্ত্রণ জানিয়েছে হিন্দু সংগঠনগুলি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পূর্ব ক্ষেত্রের সম্পাদক অমিয় সরকার বলেন, 'রামমন্দির উদ্বোধনের দিন নানা কর্মসূচি থাকছেই। তাছাড়া অযোধ্যায় যাওয়ার জন্য এক একটি ক্ষেত্রের জন্য একএক দিন ধার্য্য করা হয়েছে। এরাজ্যের ভিএইচপির কার্যকর্তারাও অযোধ্যা যাচ্ছেন। ৫ ফেব্রুয়ারি ট্রেনে রওনা দেওয়া হবে। করসেবক যাঁরা বেঁচে আছেন তাঁরা যাবেন। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা যাবেন। ওই সময় বাংলার সঙ্গে সিকিম, ওডিশা ও আন্দামান থেকে সংগঠনের উদ্যোগে রামমন্দির দর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।'
১৯৯১-এর ৬ ডিসেম্বর এরাজ্য থেকে হাজার হাজার করসেবক গিয়েছিলেন অযোধ্যায়। সেখানে গিয়ে মৃত্যুও হয়েছে করসেবকদের। এমনকী এরাজ্যে ফিরে আসার পরও মারধর চলেছে করসেবকদের ওপর। এমন অভিযোগও উঠেছিল। অনেক করসেবকের বয়সজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। যাঁরা বেঁচে রয়েছেন তাঁদের অযোধ্যায় নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ভিএইচপি।
আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Pm Modi)। উত্তরবঙ্গ থেকেও ২ হাজার ভক্ত যাচ্ছেন ভিএইচপির উদ্যোগে। ভিএইচপির উত্তরবঙ্গের প্রান্ত সংগঠন সম্পাদক অনুপ কুমার মণ্ডল বলেন, 'আমরা ফেব্রুয়ারির প্রথমে অযোধ্যার উদ্দেশে রওয়ানা দিচ্ছি। আলিপুরদুয়ার থেকে বিশেষ ট্রেনে মালদা হয়ে আযোধ্যা যাব। শদুয়েক করসেবক আমাদের সঙ্গে যাবেন। করসেবকদের বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হবে।'