Chinmoykrishna Das:অবশেষে জামিন পেলেন বাংলাদেশের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। রাষ্ট্রদ্রোহিতার বাংলায় ইসকনের প্রাক্তন এই সন্ন্যাসীকে গ্রেফতার করেছিল বাংলাদেশ পুলিশ। মাসের পর মাস ধরে জেলবন্দি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। বাংলাদেশ হাইকোর্টের নির্দেশে জামিন পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম 'প্রথম আলো'য় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনই জানানো হয়েছে। তবে জামিন মিললেও এখনই তাঁর জেলমুক্তি নিয়ে সংশয় রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যেতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিলে চিন্ময়কৃষ্ণের জেলমুক্তি আটকে যেতে পারে।
জাতীয় পতাকা অবমাননার মতো অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকারের অবসানের পর দিকে দিকে সংখ্যালঘুদের ওপর অবর্ণনীয় অত্যাচারের অভিযোগ সামনে এসেছিল। পড়শি দেশের সংখ্যালঘু সমাজের বিভিন্ন সংগঠনকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট। সেই জোটেরই মুখপাত্র ছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী।
পরে তাঁকেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতার করে বাংলাদেশ পুলিশ। জামিন চেয়ে বারবার চিন্ময়কৃষ্ণ দাস বাংলাদেশের আদালতে আবেদন করেছেন। তার হয়ে জামিন সওয়াল করা আইনজীবীদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ সামনে এসেছে। শেষমেষ মাসের পর মাস ধরে জেলবন্দি থাকার পর অবশেষে বুধবার বাংলাদেশ হাইকোর্ট তাঁর জামিনের আবেদনে সাড়া দিয়েছে।
আরও পড়ুন- Digha Jagannath temple: : দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন, আজ থেকেই দর্শনের সুযোগ সাধারণের
বাংলাদেশ হাইকোর্টে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল বুধবার। সেই শুনানি পর্ব শেষে বিচারপতিদের যৌথ বেঞ্চ চিন্ময়কৃষ্ণে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে। বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম 'প্রথম আলো'র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ন্যাসীর মামলায় রুল জারি করেছিল সে দেশের আদালত। কেন ওই সন্ন্যাসীকে জামিন দেওয়া যাবে না সে কথা জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি। সেই সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল গত ২৩ এপ্রিল।
আরও পড়ুন- Kolkata Hotel fire: 'মৃত্যুপুরী' বড়বাজারের হোটেল ঋতুরাজ, ভয়াবহ বিপর্যয়ের নেপথ্যে গাফিলতির ছাপ স্পষ্ট!
তবে গত ২৩ তারিখে আদালত জানিয়ে দিয়েছিল মামলার শুনানি হবে আজ অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল। অবশেষে আজ মামলার শুনানির সময় উভয়পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনেন বিচারপতির বেঞ্চ। তারপরেই ইসকনের প্রাক্তন সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে বাংলাদেশ সরকার। সে দেশের সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিলে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন আটকে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপাতত জেলেই থাকতে হতে পারে ইসকনের প্রাক্তন সন্ন্যাসীকে।