Kolkata Hotel fire: 'মৃত্যুপুরী' বড়বাজারের হোটেল ঋতুরাজ, ভয়াবহ বিপর্যয়ের নেপথ্যে গাফিলতির ছাপ স্পষ্ট!

Mechhua Fruit Market fire: অক্ষয় তৃতীয়ার আগের রাতেই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড কলকাতার বড়বাজারে। দমবন্ধ হয়ে হোটেলেই মৃত ১৩। মারাত্মক এই বিপর্যয়ে আবারও প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।

Mechhua Fruit Market fire: অক্ষয় তৃতীয়ার আগের রাতেই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড কলকাতার বড়বাজারে। দমবন্ধ হয়ে হোটেলেই মৃত ১৩। মারাত্মক এই বিপর্যয়ে আবারও প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।

author-image
Joyprakash Das
New Update
urrabazar hotel blaze,Burrabazar fire tragedy,কলকাতায় আগুনে মৃত্যু,Kolkata fire death toll,Mamata Banerjee on Burrabazar fire,Barabazar Fire,অগ্নিকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া,Mechhua Fruit Market fire,fire,বড়বাজারে আগুন,কলকাতায় আগুন,অগ্নিকাণ্ডে মৃত ১৪

Mechhua Fruit Market fire: বড়বাজারের ঋতুরাজ হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু-মিছিল।

Burrabazar hotel blaze: অক্ষয় তৃতীয়ার দিন বড়বাজারের হোটেলে আগুন লেগে মৃত্যুর ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে। এভাবে আগুন লেগে গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়ে ১৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় আঙুল উঠছে প্রশাসনিক নজরদারি নিয়ে। তাছাড়া আগুন লাগলে কীভাবে তড়িঘড়ি ব্য়বস্থা নেওয়া যায় সে ব্যাপারেও হোাটেলে কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ছিল বলে স্থানীয়রা দাবি করেছে। হোটেল মালিক আপাতত পলাতক। 

Advertisment

এর আগে কলকাতা স্টিফেন হাউসের পরিস্থিতি দেখেছে। আমরি হাসপাতালে আগুনের কবলে মৃত্যু মিছিল দেখেছে কলকাতা। এবার ঘিঞ্জি এলাকা বড়বাজারে সেই দৃশ্য দেখা গেল। অগ্নিদবগ্ধ না হয়েও আগুনের ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে সাধারণ মানুষের জীবন চলে গেল অকালে। প্রথমত, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বড়-বড় বিল্ডিংগুলিতে থাকার কথা। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় হয় ওই যন্ত্রগুলি ব্য়বহার করতে জানে না অথবা এক্সপায়েরি ডেট অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। এই হোটেলের ক্ষেত্রে সেই যন্ত্রের ব্যবহার করার কোনও খবর নেই। নামকে ওয়াস্তে শুধু নিয়ম মেনে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলি দেওয়ালে টাঙিয়ে রাখাই দস্তুর। 

প্রশ্ন উঠেছে, এই হোটেলে জলের কি কোনও ব্যবস্থা আছে? আগুন তো হঠাৎই লাগে, সেক্ষেত্রে জলের ব্য়বস্থা থাকা খুব জরুরি। অভিযোগ তেমন কোনও ব্যবস্থা এখানে ছিল না। রান্নাঘর থেকে হঠাৎই আগুন ছড়িয়ে যায়। হোটেলের ৬২ জন কর্মী, তারা কি হোটেলের আবাসিকদের সতর্ক করেছিলেন? নাকি তাঁরা নিজেরাই প্রাণ বাঁচাতে হোটেল ছেড়ে পালিয়েছিলেন? এই প্রশ্ন উঠছে স্থানীয়দের মধ্যে। আগুন লাগার পর এমার্জেন্সি একজিটের গেটও ব্লক হয়ে গিয়েছিল। একটা সিঁড়িই তখন যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। যাঁরা ছাদে উঠে গিয়েছিল তাঁরা কোনওরকমে প্রাণে বেঁচেছেন।

আরও পড়ুন- Kolkata hotel fire: 'মৃত্যুপুরী' বড়বাজার! অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে রুদ্ধশ্বাস উদ্ধার-অভিযানের শেষ পর্যন্ত দেখুন ছবিতে

Advertisment

 হোটেলের অধিকাংশ ঘরই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। সেক্ষেত্রে হোটেলের আবাসিকরা এই গরমে ঘরেই আবদ্ধ ছিলেন। ভেবেছিলেন রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন। আগুন লেগেছে তা বুঝতেই ঢের দেরি হয়ে গিয়েছিল। তখন পরিস্থিতি রীতিমতো হাতের বাইরে। তাঁদেরকে দ্রুত সতর্কও করলে হয়তো প্রাণে বেঁচে যেতে পারতেন। মোদ্দা কথা গাফিলতি ছিল নানা বিষয়েই। ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়েই ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এই হোটেলের উল্টোদিকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ, হোটেলের নীচে গত দেড় বছর ধরে বার তৈরির কাজ চলছিল। প্রশ্ন উঠেছে, স্কুলের সামনে কিভাবে বারের লাইসেন্স পেতে পারে?

আরও পড়ুন- Deadly fire in Kolkata: কলকাতার বড়বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুমিছিল, শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রীর, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা

Burrabazar fire tragedy kolkata fire