Sheikh Hasina extradition to Bangladesh: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে কূটনৈতিক চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মুহাম্মদ রফিকুল আলম বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো-কে জানিয়েছেন, আপাতত হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে দিল্লির উত্তরের অপেক্ষা করতে চাইছে ইউনূস প্রশাসন।
দিল্লিকে বার্তা পাঠানোর পর এক কিছুটা ধীরে চলো নীতি নিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের তরফে কোনও উত্তর পাওয়ার পরই হাসিনার প্রত্যর্পণের প্রসঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে ইউনূসের প্রশাসন। দিল্লির উত্তরের জন্য যে অপেক্ষা করতে হবে তা ঠারেঠোরে বুঝতে পারছে ঢাকা। এমনটাই ইঙ্গিত সেদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের। মুখপাত্রের বক্তব্য, বন্দিবিনিময় নিয়ে চুক্তিতে সময়সীমার কোনও উল্লেখ নেই। সেক্ষেত্রে দিল্লির উত্তরের জন্য তাঁদের অপেক্ষা করতে হবে। একটা সময়ের পর কোনও জবাব না এলে ফের একবার চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মুখপাত্র।
গত সোমবার দিল্লিকে চিঠি পাঠিয়েছে ঢাকা। এক্ষেত্রে কতটা সময় লাগতে পারে তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট মন্তব্য করেননি রফিকুল। তাঁর কথায়, 'যতটুকু সময়ে দুই দেশের সরকার মনে করবে এটি সঠিক, সেইভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
আরও পড়ুন নৈরাজ্যের বাংলাদেশে জেলমুক্ত জঙ্গিরা, দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলার সীমান্তে বিপুল জওয়ান মোতায়েন
প্রসঙ্গত, জুলাই-আগস্ট মাস ধরে চলা বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামি লিগ সরকারের। দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাইদুর রহমানের খুনের ঘটনায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-সহ ১৪৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় অন্তত ২৩৩টি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ১৯৮টি ক্ষেত্রে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। হাসিনা-সহ ১৪৩ জনের বিরুদ্ধে আগেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল।
আরও পড়ুন শুভেন্দু অধিকারীর উপর জঙ্গি হামলার আশঙ্কা, রাজ্যের পুলিশকে সতর্ক করলো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী
আদালতে রায় ঘোষণার পরই হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারত সরকারকে কূটনৈতিক চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। দিল্লি অবশ্য ঢাকার চিঠি প্রাপ্তি স্বীকার করেছে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পাঠানো কূটনৈতিক বার্তার আইনি বৈধতা কতটা, তা খতিয়ে দেখবে মোদী সরকার। তার পর যথাসময়ে উত্তর দেওয়া হবে ঢাকাকে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, সবদিক খতিয়ে দেখে জবাব দিতে কয়েক মাস সময় লাগবে।