India Bangladesh Border Dispute: বাংলাদেশের পদক্ষেপের তীব্র প্রতিক্রিয়া। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বিরোধের জেরে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে তলব করল ভারত।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে, সোমবার ভারত বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার নুরুল ইসলামকে তলব করেছে। রবিবার, বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে সীমান্তে বিএসএফ যে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করেছে সেই বিষয়ে আপত্তি প্রকাশ করে। মাত্র কয়েকদিন আগেই মালদা ও কোচবিহারে সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয় দু'দেশের মধ্যে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই আজ সাউথ ব্লকে ডেকে পাঠানো হয় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনরকে। সূত্রের খবর বেড়া দিতে কোথায় আপত্তি তা জানতেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক সীমান্তে বেড়া নির্মাণকে একটি 'অবৈধ প্রচেষ্টা' বলে অভিহিত করেছে। তবে, মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৪,১৫৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে ভারত ৩২৭১ কিলোমিটার এলাকা বেষ্টনী দিয়ে ঘেরা রয়েছে। ৮৮৫ কিলোমিটার সীমান্তে বর্তমানে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ চলছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ভারত ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৬০টি স্থানে বেড়া দেওয়ার কাজ হয়েছে। সীমান্তে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় ১০ জানুয়ারি থেকে বিএসএফ আবার বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করেছে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া নির্মাণ নিয়ে বিরোধের জেরে সোমবার বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে তলব করেছে ভারত। এর আগে রবিবার বাংলাদেশ ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করেছিল। বাংলাদেশ অভিযোগ করেছে যে ভারত দ্বিপাক্ষিক সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করে সীমান্তের পাঁচটি স্থানে বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, যে ভারতীয় হাইকমিশনার বাংলাদেশের বিদেশ সচিব জসিমউদ্দিনের সাথে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি। বৈঠকের পর ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, 'নিরাপত্তা ইস্যুতে উভয় দেশই বেড়া নির্মাণে সম্মত হয়েছে। উভয় দেশের নিরাপত্তা বাহিনী (বিএসএফ এবং বিজিবি) এই বিষয়ে কথা বলেছে'। এর আগে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, 'পাঁচটি স্থানে ভারত যে কাঁটাতারের বেড়া বসিয়েছে তা অনুনোমোদিত এবং অবৈধ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সীমান্ত নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চারটি চুক্তি হয়েছে ভারত এই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে'।
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সীমান্তে প্রবেশ ঠেকাতে ভারত সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। এতেই বাংলাদেশ রীতিমত ক্ষুব্ধ। গতকাল ঢাকায় বাংলাদেশের বিদেশ সচিব জসিম উদ্দিনের সাথে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে বৈঠক করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার। আলোচনার বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করা হয়নি।