Sukanta Majumdar: খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামী তুহিন মান্ডির উপর হামলা চালানোর ঘটনায় মধ্যরাতে বিজেপি কার্যালয়ে ঢুকে ভাংচুর চালানোর 'বিস্ফোরক' অভিযোগ, পুলিশের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
মন্ত্রীর স্বামীকে মারধরের অভিযোগে উত্তপ্ত খাতরা। তার রেশ না কাটতেই রবিবার রাতে বাঁকুড়া শহরের নতুনগঞ্জে বিজেপি জেলা কার্যালয়ে পুলিশের হানা ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে পুলিশ তালা ভেঙে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে ঢোকে, এবং সেখানে ভাঙচুর চালানো হয়। এই ঘটনায় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল বচসা বাঁধে। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাঁকুড়া সদর থানার সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অন্যদিকে, বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার জানান,“নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে। অফিসে কোনও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। সমস্ত কিছু ভিডিয়োগ্রাফ করা হয়েছে।” তবে পুলিশের এই বক্তব্য মানতে নারাজ বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পুলিশি পদক্ষেপ। ঘটনাকে ঘিরে বাঁকুড়া জেলাজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে।
এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে এই ঘটনার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, এটি শুধু নিন্দনীয় নয়, বরং একটি নির্বাচিত সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসনের নগ্ন উদাহরণ। তিনি আরও লিখেছেন, “এই ঘটনা প্রমাণ করে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের সাহায্যে রাজনৈতিক দলগুলির উপর আক্রমণ চালাচ্ছেন। রাজ্য পুলিশ তাঁর ব্যক্তিগত বাহিনী হয়ে উঠেছে।”
গোটা ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তাদের মতে, “রাতের অন্ধকারে কোন একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে জোরপূর্বক প্রবেশ করার চেষ্টা রাজনৈতিক সন্ত্রাস ছাড়া কিছুই নয়।”