/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/12/cats-2025-10-12-21-39-02.jpg)
নিরাপত্তা ব্যবস্থায় উঠছে প্রশ্ন
বর্ধমান স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনা! নিরাপত্তা ব্যবস্থায় উঠছে প্রশ্ন। রবিবার সন্ধ্যায় ট্রেন ধরার হুড়োহুড়িতে আহত হলেন একাধিক যাত্রী। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় স্টেশন চত্বরে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক দোকানদার বিকি রাউত জানিয়েছেন, “তখন চার, ছয় ও সাত নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ছিল। চার নম্বরে বর্ধমান-হাওড়া মেন লাইন, ছয়ে রামপুরহাট লোকাল আর সাতে আসানসোল লোকাল দাঁড়িয়ে ছিল। ট্রেন ধরতে গিয়েই হুড়োহুড়ি শুরু হয়।”
তিনি আরও বলেন, “সিঁড়িটা খুব ছোট, আর একই সময়ে রামপুরহাট ও আসানসোলের প্যাসেঞ্জারসহ হাওড়া লোকাল ধরার জন্য যাত্রীদের ভিড় বেড়ে যায়। সেই চাপেই কয়েকজন পড়ে গিয়ে পদপিষ্ট হন"। এক আহতের স্বামী অরূপ দাস জানান, ওঠানামার হুড়োহুড়িতে পড়ে যাই আমরা। কিছু মানুষ ছিটকে পড়েন।
আরও পড়ুন- ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপিতে ছন্দপতন, একের পর এক ইস্তফা একঝাঁক নেতৃত্বের
এক মহিলা সাফাইকর্মী জানান, ওই সময় তিনটি ট্রেন এসে পড়ে। অনেকে নামতে চান। ট্রেন ধরবেন। কিছু মানুষ ফেরার তাড়ায় ছিলেন। সিড়িটা ছোট হওয়ায় এমন ঘটে যায়। ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রেল সূত্রে জানা গেছে, আহতদের অবস্থা স্থিতিশীল।
এদিকে, এই ঘটনাকে ঘিরে ফের উঠছে নিরাপত্তা ও যাত্রী নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী বর্ধমান স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন। কিন্তু সংকীর্ণ সিঁড়ি ও পর্যাপ্ত রেলওয়ে নিরাপত্তা কর্মীর অভাব নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। রেল প্রশাসন জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পূর্ব রেলের সিপিআর ও দীপ্তিময় দত্ত জানান, চার নম্বর প্লাটফর্মে ওভারব্রিজ থেকে নামতে গিয়ে ব্যালান্স হারিয়ে পড়ে যান এক মহিলা। তার ফলেই সিড়িতে থাকে অন্যরা ছিটকে যান। রেলের কর্মী ও আর পি এফ দ্রুত ছুটে যায়। দুজন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
যদিও বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ জানিয়েছেন, ঘটনায় সাতজন আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের গুরুতর কোন সমস্যা নেই। তবুও তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন- 'অনুরোধ করব রাতে না বেরোতে', দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে তুমুল বিতর্ক
রেল সূত্রে জানান হয়েছে, এরপর ট্রেন চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটে নি।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান বিধায়ক খোকন দাস জখম যাত্রীদের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে খোঁজ খবর নিতে। রেলের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হন তিনি। এই মুহুর্তে আহতদের চিকিৎসা চলছে। একজনের পায়ের আঘাত গুরুতর বলে জানান বিধায়ক।