Basanta Utsav celebrated at Visva Bharati University: সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়েই হবে 'বসন্ত উৎসব'। এমনই ঐতিহ্য ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan)। কারণ, দোল (Dol) বা হোলি উৎসবের মতো অনুষ্ঠানের সঙ্গে বসন্ত উৎসবের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু উৎসব বাদ দিয়ে বন্দনায় থেমেছেন বর্তমান বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ আগের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকেই অনুসরণ করেছেন।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় বসন্ত বন্দনা এবং রাত ৯টায় গৌরপ্রাঙ্গণে বৈতালিক (যা ইতিমধ্যেই হয়েছে)। মঙ্গলবার ভোর ৫টায় বৈতালিক ও সকাল ৭টায় শোভাযাত্রা গৌরপ্রাঙ্গণে (এই কর্মসূচিও পালিত হয়েছে)। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চে বাল্মীকি প্রতিভা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, এবারও নিজেদের মত করে 'বসন্ত উৎসব' পালন করল বিশ্বভারতী। এদিন প্রথমে 'ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল' গান গেয়ে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বসন্ত উৎসবের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সহ বিশ্বভারতীর আধিকারিকেরা। দোলের দিন বসন্ত উৎসব পালন করা হবে না, তা আগেই বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কারণ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ শান্তিনিকেতন। তাই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ রক্ষার্থে নানা দিক চিন্তা ভাবনা করতে হচ্ছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। বিশেষ করে দোলের দিন বিশ্বভারতী প্রাঙ্গণে বসন্ত উৎসব দেখতে আগে হাজির হতেন কাতারে কাতারে মানুষ।
আরও পড়ুন- Purba Bardhaman News: নাম ভাঁড়িয়ে চোখের চিকিৎসা, প্যাঁচে পড়তেই বিরাট প্রতারণার পর্দা-ফাঁস
বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়তেন তাঁরা। বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে বসন্ত উৎসবের সময় বিভিন্ন শিল্পীদের শিল্পকর্মের উপর আবির ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে গুণী শিল্পীদের শিল্পকর্মের ক্ষতির নজিরও রয়েছে। তাই সব দিক বিবেচনা করে বিশ্বভারতী এবারও নিজের মতো করেই দোলের আগেই গৌড় প্রাঙ্গণে 'বসন্ত উৎসব' উদযাপন করলো নিজেদের মতো করে।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: বিজেপির বিক্ষোভের জের, ফের উত্তপ্ত বিধানসভা, নথি ছিঁড়ে বিধায়কদের বেনজির প্রতিবাদ
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গেছে, কবির বালকপুত্র শমীন্দ্রনাথ ১৯০৭ সালে খেলার ছলে এই ঋতু-উৎসবের সূচনা করেছিলেন। বছরের বাঁধাধরা একটা দিনে আশ্রমে উৎসব হত না, এমনটা নয়। ১৯২৩ সালে মাঘী পূর্ণিমায় শান্তিনিকেতনে বসন্ত উসব পালিত হয়। ফাল্গুনী পূর্ণিমায় আশ্রম-সম্মিলনীর অধিবেশনে আবারও আয়োজন করা হয়েছিল বসন্ত-বন্দনার। সে বারই শ্রীপঞ্চমীর দিনও আম্রকুঞ্জের সভায় বসেছিল উৎসবের আসর। ১৯৮২ সালে 'বসন্ত উৎসব' স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন তদান্তীন উপাচার্য অম্লান দত্ত। পরে অবশ্য নিয়ম রক্ষার 'বসন্ত উৎসব' পালিত হয়।