Samik communal harmony speech: শুভেন্দু অধিকারী ও শমীক ভট্টাচার্য। একদিকে হিন্দুত্বের কট্টরপন্থা অন্যদিকে সম্প্রীতির বার্তা। বঙ্গ BJP-র পরবর্তী রোডম্যাপ কি সায়েন্সসিটির মঞ্চ থেকে প্রতিধ্বনিত হল? ২০২৬-এর নির্বাচনে এই কৌশল অবলম্বন করেই কি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি? এটাই এখন রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চার বিষয়।
যে মঞ্চে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে বরণ করা হল, সেখানেই বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন দলে সংখ্যালঘু মোর্চার দরকার নেই। তাছাড়া লাগাতার হিন্দু ভোট এক জোট করার আবেদন জানিয়ে আসছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এদিনও তাঁর ভাষণে কোনও পরিবর্তন ছিল না। কিন্তু বিজেপির নয়া সভাপতি সংখ্যালঘু তথা মুসলিম নিয়ে নরম মনোভাব পোষণ করেছেন।
শুধু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলেই থেমে যাননি, শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, "দুর্গাপুজো ও মহরমের শোভাযাত্রা একই রাস্তা দিয়ে একই সময়ে যাবে। আমরা সংখ্যালঘু বা মুসলিমদের বিরোধী নই।" সভাপতি পদে বসেই হঠাৎ বঙ্গ বিজেপি প্রধানের সুর শুনে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh: BJP-তে কোণঠাসা দিলীপের মুখে কুণালের নাম, রং-বদল সময়ের অপেক্ষা?
শমীকের কথায়, "মারছে মুসলমান, মরছে মুসলমান।" তার পরিবর্তন চাইছেন তিনি। মুসলিম ছেলেদের হাতে পাথরের বদলে ফুল, তলোয়ারের বদলে পেন দেওয়ার কথা বলেছেন বঙ্গ বিজেপির নব্য সভাপতি। এর আগে লাগাতার হিন্দু ভোট একত্রিত হওয়ার কথা বলে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিজাতি তত্ত্বেই যে তাঁর জয় এসেছে তা একাধিকবার বলেছেন শুভেন্দু। সম্প্রতি নদিয়ার কালীগঞ্জের উপনির্বাচনে হিন্দু ভোট একত্রিত হয়ে বিজেপিতে দেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। মুসলিম জনসংখ্যা ওই আসনে বেশি আছে, তাই বিজেপি হারবে বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন- TMC-CPM: 'লুঠেপুটে খাচ্ছে', চরম ক্ষোভে তৃণমূল ছেড়ে লাল-পার্টিতে, কার্যালয়ের দখল নিল CPM
২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেতে কট্টরপন্থী হিন্দুত্বের লাইন নিয়ে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলের নয়া সভাপতি বরণের দিনও হিন্দুত্বের হুংকার ছেড়েছেন শুভেন্দু। অপরদিকে সংখ্যালঘু বা মুসলিম প্রসঙ্গে বক্তব্য রেখেছেন শমীক ভট্টাচার্য। শমীকের নরম সুর ২০২৬-এর নির্বাচনের লড়াইয়ে নয়া কৌশল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মুসলিম সমাজ সম্পর্কে যে একরোখা মনোভাব রয়েছে বিরোধী দলনেতার সেখান থেকে অনেকটা সরে এসেই বক্তব্য রেখেছেন শমীক।
আরও পড়ুন- Dilip -Samik:শমীক BJP সভাপতি হওয়ার পরের দিনেই কী বললেন দিলীপ? আজ-কালেই বিরাট সিদ্ধান্ত?
তিনি বলেছেন, "বিজেপি যদি আপনাদের কাছে অচ্ছুত হয়, তাহলে ভোট দিতে হবে না। শুধু আয়নার সামনে দাড়ান।" রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তাহলে কি সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংক নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে বঙ্গ বিজেপি? অন্ততপক্ষে কট্টরপন্থা থেকে সরে আসতে চাইছে?
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, একদিকে কট্টরপন্থা, অন্যদিকে উদারপন্থা- দুই ধারায় চলতে চাইছে বিজেপি। মুসলিম ভোট সহজে পাওয়া না গেলেও নরমপন্থী মনোভাব অন্তত পোষণ করা। শমীক ভট্টাচার্যের সংখ্যালঘু ও মুসলিম সংক্রান্ত বক্তব্যের পর রাজ্য-রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। শোরগোল পড়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। কট্টরপন্থা ও উদারপন্থার মিশেলের কৌশল নিয়েছে বিজেপি, অভিমত অভিজ্ঞ মহলের।
Samik Bhattacharya: '২৬-এর যুদ্ধে BJP-র নয়া 'ট্যাকটিক্স'! শমীক জমানায় বঙ্গে 'লাইন' বদলাচ্ছে পদ্ম শিবির?
Samik communal harmony speech:বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে গতকালই নয়া রাজ্য সভাপতি পেয়েছে বঙ্গ বিজেপি। দায়িত্ব নিয়েই সংখ্যালঘুদের নিয়ে শমীক ভট্টাচার্যের বার্তা চর্চায়।
Samik communal harmony speech:বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে গতকালই নয়া রাজ্য সভাপতি পেয়েছে বঙ্গ বিজেপি। দায়িত্ব নিয়েই সংখ্যালঘুদের নিয়ে শমীক ভট্টাচার্যের বার্তা চর্চায়।
Shamik Bhattacharya-Bengal BJP: গতকাল সায়েন্স সিটির অনুষ্ঠানে শমীক ভট্টাচার্যকে সভাপতি পদে বরণ করে নেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা।
Samik communal harmony speech: শুভেন্দু অধিকারী ও শমীক ভট্টাচার্য। একদিকে হিন্দুত্বের কট্টরপন্থা অন্যদিকে সম্প্রীতির বার্তা। বঙ্গ BJP-র পরবর্তী রোডম্যাপ কি সায়েন্সসিটির মঞ্চ থেকে প্রতিধ্বনিত হল? ২০২৬-এর নির্বাচনে এই কৌশল অবলম্বন করেই কি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি? এটাই এখন রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চার বিষয়।
যে মঞ্চে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে বরণ করা হল, সেখানেই বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন দলে সংখ্যালঘু মোর্চার দরকার নেই। তাছাড়া লাগাতার হিন্দু ভোট এক জোট করার আবেদন জানিয়ে আসছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এদিনও তাঁর ভাষণে কোনও পরিবর্তন ছিল না। কিন্তু বিজেপির নয়া সভাপতি সংখ্যালঘু তথা মুসলিম নিয়ে নরম মনোভাব পোষণ করেছেন।
শুধু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলেই থেমে যাননি, শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, "দুর্গাপুজো ও মহরমের শোভাযাত্রা একই রাস্তা দিয়ে একই সময়ে যাবে। আমরা সংখ্যালঘু বা মুসলিমদের বিরোধী নই।" সভাপতি পদে বসেই হঠাৎ বঙ্গ বিজেপি প্রধানের সুর শুনে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh: BJP-তে কোণঠাসা দিলীপের মুখে কুণালের নাম, রং-বদল সময়ের অপেক্ষা?
শমীকের কথায়, "মারছে মুসলমান, মরছে মুসলমান।" তার পরিবর্তন চাইছেন তিনি। মুসলিম ছেলেদের হাতে পাথরের বদলে ফুল, তলোয়ারের বদলে পেন দেওয়ার কথা বলেছেন বঙ্গ বিজেপির নব্য সভাপতি। এর আগে লাগাতার হিন্দু ভোট একত্রিত হওয়ার কথা বলে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিজাতি তত্ত্বেই যে তাঁর জয় এসেছে তা একাধিকবার বলেছেন শুভেন্দু। সম্প্রতি নদিয়ার কালীগঞ্জের উপনির্বাচনে হিন্দু ভোট একত্রিত হয়ে বিজেপিতে দেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। মুসলিম জনসংখ্যা ওই আসনে বেশি আছে, তাই বিজেপি হারবে বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন- TMC-CPM: 'লুঠেপুটে খাচ্ছে', চরম ক্ষোভে তৃণমূল ছেড়ে লাল-পার্টিতে, কার্যালয়ের দখল নিল CPM
২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেতে কট্টরপন্থী হিন্দুত্বের লাইন নিয়ে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলের নয়া সভাপতি বরণের দিনও হিন্দুত্বের হুংকার ছেড়েছেন শুভেন্দু। অপরদিকে সংখ্যালঘু বা মুসলিম প্রসঙ্গে বক্তব্য রেখেছেন শমীক ভট্টাচার্য। শমীকের নরম সুর ২০২৬-এর নির্বাচনের লড়াইয়ে নয়া কৌশল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মুসলিম সমাজ সম্পর্কে যে একরোখা মনোভাব রয়েছে বিরোধী দলনেতার সেখান থেকে অনেকটা সরে এসেই বক্তব্য রেখেছেন শমীক।
আরও পড়ুন- Dilip -Samik:শমীক BJP সভাপতি হওয়ার পরের দিনেই কী বললেন দিলীপ? আজ-কালেই বিরাট সিদ্ধান্ত?
তিনি বলেছেন, "বিজেপি যদি আপনাদের কাছে অচ্ছুত হয়, তাহলে ভোট দিতে হবে না। শুধু আয়নার সামনে দাড়ান।" রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তাহলে কি সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংক নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে বঙ্গ বিজেপি? অন্ততপক্ষে কট্টরপন্থা থেকে সরে আসতে চাইছে?
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, একদিকে কট্টরপন্থা, অন্যদিকে উদারপন্থা- দুই ধারায় চলতে চাইছে বিজেপি। মুসলিম ভোট সহজে পাওয়া না গেলেও নরমপন্থী মনোভাব অন্তত পোষণ করা। শমীক ভট্টাচার্যের সংখ্যালঘু ও মুসলিম সংক্রান্ত বক্তব্যের পর রাজ্য-রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। শোরগোল পড়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। কট্টরপন্থা ও উদারপন্থার মিশেলের কৌশল নিয়েছে বিজেপি, অভিমত অভিজ্ঞ মহলের।