রেল প্রকল্পের মত সরকারি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগানে বঙ্গ রাজনীতিতে তুরজা তুঙ্গে। একে অপরকে নিশানায় ব্যস্ত তৃণমূল ও বিজেপি। কেন্দ্রের উদ্যোগ, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণকে কার্যত ছাপিয়ে গিয়েছে স্লোগান বিতর্ক। এর মধ্যেই এই ধরণের স্লোগানের জন্য দলকে খেসারত দিতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করে টুইট করেছেন রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি। তুলে ধরেছেন একুশের জানুয়ারিতে ভিক্টোরিয়াকাণ্ডের পর দলের পরিণতির কথা।
'জয় শ্রীরাম' স্লোগানকে যখন 'আবেগ' বলে মন্তব্য করছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়রা তখন ভিন্ন মত জানিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সংখ্যা মোর্চার সভাপতি চার্লস নন্দী। দলীয় সমর্থকদের 'জয় শ্রীরাম' স্লোগানের ঔদ্ধত্য আসলে 'অপরিপক্ক' মানসিকতা বলেই মনে করেছেন তিনি। টুইটারে চার্লস লিখেছেন, 'জয় শ্রীরাম আসলে অপরিপক্ক স্লোগান। এই স্লোগানের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে উঠতে চাননি। অতীতে ২০২১ সালের ভোটের আগে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে এই ধরণের স্লোগান দলের বিরুদ্ধে গিয়েছিল।'
মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে হাওড়া স্টেশনে আচমকা 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান যে এ রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বেরর সবাই ভালোভাবে নিচ্ছেন না তা দলের সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতির টুইটেই স্পষ্ট।
আরও পড়ুন- ‘এরপর অনেক অনুষ্ঠান বাড়িতে বসে দেখতে হবে’, ঝাঁঝালো ভাষায় মমতাকে ধুলেন শুভেন্দু
তবে, বিজেপি সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি চার্লস নন্দীর টুইটের বিষয়ে রাজ্য বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। বলেন, 'আমি এই টুইট নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। এটি বিজেপি দলের অফিসিয়াল টুইট নয়। আমি এর পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু বলব না। তবে ভিক্টোরিয়ার সময়ের প্রেক্ষিত ভিন্ন ছিল। আজকের সময় সম্পূর্ণ অন্য।'
আরও পড়ুন- জিভে জল আনা খাবার, নিমেষেই পৌঁছন পাহাড়, বন্দে ভারতের যাত্রা যেন ‘স্বর্গ-সুখ’!
উল্লেখ্য, একুশের ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে কেন্দ্রীয় এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ভাষণ দিতে শুরু করলে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান শুরু হয়। যার জেরে 'অপমানিত' মমতা ভাষণ দিতে রাজি হয়নি। সেই ঘটনা নিয়েও প্রবল চর্চা হয়। এরপর বিধানসভা ভোট পরাজিত হয় বিজেপি।