/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/14/cats-2025-08-14-11-57-38.jpg)
কমিশনের চাপে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, দেওয়া হল সাত দিনের আলটিমেটাম
ELECTION COMMISSION: বুধবার নির্বাচন কমিশনের (ECI) তলবে হাজির হন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বৈঠকে কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ, ভোটার তালিকা সংক্রান্ত অনিয়মে অভিযুক্ত চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে। এর জন্য আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কমিশন।
সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি। সেই কারণেই মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল কমিশন। বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই বিষয়ে আইনি এক্তিয়ার মেনেই রাজ্যের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগ, দুই ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO), দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (AERO) এবং এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর তাঁদের আইডি অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন। কমিশনের নির্দেশ ছিল তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর ও সাসপেনশনের মতো পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে এখনও পর্যন্ত সেই ব্যবস্থা নেন রাজ্য।
দুপুরের পরই আবহাওয়ার 'ম্যাজিক' বদল, কোন কোন জেলায় তুমুল বৃষ্টির সতর্কতা?
কমিশনের চাপে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, দেওয়া হল সাত দিনের আলটিমেটাম। বুধবার দিল্লিতে তলব করা হয় রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে। কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ— অভিযুক্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে রাজ্যকে। এ জন্য ২১ অগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দুই ইআরও (ERO), দুই এইআরও (AERO) এবং এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। কমিশনের দাবি, এই পাঁচজন সরকারি কর্মী তাঁদের অফিসিয়াল আইডি অস্থায়ী কর্মীদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। ফলে ভোটার তালিকায় বেশ কিছু ভুয়ো নাম ঢুকে পড়ে। কমিশন তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর ও সাসপেনশনের সুপারিশ করে। কিন্তু রাজ্যের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। চিঠিতে রাজ্যের দাবি, অতিরিক্ত চাপের কারণে অফিসাররা অনেকসময় কর্মীদের সঙ্গে আইডি শেয়ার করে থাকেন।
কী কারণে নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি? মুখ্যসচিবকে পুরো রিপোর্ট-সহ ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে কমিশনের কাছে। কমিশনের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এসআইআর (Special Summary Revision) প্রত্যেক রাজ্যে বাস্তবায়ন করা হবে এবং নির্বাচন বিধি কার্যকর না হলেও এই পদক্ষেপ কমিশনের ক্ষমতার মধ্যে পড়ে।
আবারও ‘রাত দখল’, 'রাতভর' মশাল মিছিল, ন্যায় বিচারের দাবিতে ফের রাজপথে জনগর্জন
কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ৫ অগস্টের নির্দেশ মানতে হবে সাত দিনের মধ্যে। ওই নির্দেশ অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে FIR এবং সাসপেনশনের পদক্ষেপ বাধ্যতামূলক। কিন্তু মুখ্যসচিবের সাফাই— একা তাঁর পক্ষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়, কারণ রাজ্য সরকার সেই সব আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত চালাচ্ছে। কমিশনের বক্তব্য, তদন্ত চলতে পারে, কিন্তু তা কোনওভাবেই কমিশনের নির্দেশ মানতে দেরির অজুহাত হতে পারে না।