Doctors Safety and Security: সব হাসপাতালে 'প্যানিক বাটন', মহিলা পুলিশকর্মী, ডাক্তারদের নিরাপত্তায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ নবান্নের
Doctors Safety and Security: আরজি কর কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে সমস্ত সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিয়ে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করল নবান্ন।
Doctors Safety and Security: আরজি কর কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে সমস্ত সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিয়ে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করল নবান্ন।
Doctors Safety: হাসপাতালগুলির চিকিৎসা পরিকাঠামো এবং চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার।
Doctors Safety and Security: সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলিতে সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের একদিন পরেই একগুচ্ছ পদক্ষেপ করল নবান্ন। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বুধবার নবান্নে বৈঠক করেন আন্দোলনকারী ডাক্তাররা। সেই বৈঠকে একাধিক বিষয় উত্থাপন করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। হাসপাতালগুলির চিকিৎসা পরিকাঠামো এবং চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। সেই মর্মে স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
Advertisment
জানা গিয়েছে, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বসানো হবে প্যানিক বাটন। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ অভিযোগ গ্রহণের কমিটি বা ইন্টারনাল কমপ্লেন্টস কমিটি এবং অন্য কমিটিগুলিকে সক্রিয় রাখা হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হবে। প্রতিটি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই হেল্পলাইন নম্বর চালু করতে হবে। এই মর্মে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ এবং অন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এর আগে গত সোমবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে এক দফা বৈঠক করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপর বুধবার নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। সেখানেও এই দাবিগুলি তোলেন আন্দোলনকারীরা।
নবান্নের বৈঠকে ডাক্তারদের রেস্টরুম, টয়লেট, সিসি ক্যামেরা, অভ্য়ন্তরীণ অভিযোগগ্রহণ কমিটি-সহ একাধিক দাবির কথা জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আলোচনায় মৌখিক আশ্বাসও পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বৈঠকের কার্যবিবরণী তৈরির সময় সেগুলি জায়গা পায়নি। মুখ্যসচিবের তরফে তাঁদের জানানো হয়, দাবিদাওয়া লিখিত আকারে পাঠানোর জন্য। এবার সেই দাবিগুলি বিবেচনা করে নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামোগত দিকগুলি উন্নত করতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য।
চিঠিতে মুখ্যসচিব স্বাস্থ্যসচিবকে লিখেছেন, হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী তথা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন করতে হবে।
বিশেষত মহিলা পুলিশকর্মীর সংখ্যা যাতে পর্যাপ্ত থাকে সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
রাতে সমস্ত হাসপাতালে স্থানীয় থানার পুলিশকে টহলদারি দলও রাখতে হবে।
প্রতিটি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে সিকিউরিটি অডিটও করা হবে। এর দায়িত্ব থাকবেন প্রাক্তন আইপিএস তথা প্রাক্তন ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ।
প্রতিটি হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তারদের জন্য পৃথক রেস্টরুম, শৌচালয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
পানীয় জলের বন্দোবস্ত ঠিকঠাক আছে কি না সেদিকেও নজর দিতে হবে।
সরকারি হাসপাতালগুলিতে কত বেড ফাঁকা রয়েছে, তা প্রতি মুহূর্তের তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে রাখার বন্দোবস্ত করতে হবে।
মানুষের সুবিধার জন্য সমস্ত হাসপাতালে একটি ডিসপ্লে বোর্ড রাখতে হবে।
অন্য হাসপাতালে রোগীকে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম।
পাশাপাশি ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের শূন্যপদ দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।