Advertisment

Kolkata Rape Murder Case: সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ, বিরাট ব্যবস্থা নিল মেডিক্যাল কাউন্সিল

Kolkata Rape Murder Case: আরজি কর মামলায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় ছাড়াও আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই।

author-image
IE Bangla Web Desk
আপডেট করা হয়েছে
New Update
Kolkata Rape Murder Case

আরজি কর কাণ্ডে এবার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিল।

Kolkata Rape Murder Case:  আরজি কর কাণ্ডে এবার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিল। আরজি করে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলা ছাড়াও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তিনি সিবিআই  হেফাজতে রয়েছেন। এরই মধ্যে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল  কাউন্সিল (ডব্লিউবিএমসি) বৃহস্পতিবার প্রাক্তন আরজি কর অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে। 

Advertisment

বেঙ্গল মেডিকেল অ্যাক্ট, 1914-এর বেশ কয়েকটি ধারার অধীনে সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে ডব্লিউবিএমসির তরফে।পশ্চিমবঙ্গ মেডিকেল কাউন্সিলের জারি করা নোটিশে বলা হয়েছে যে কাউন্সিল তাকে ৬ সেপ্টেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ  জারি করেছিল, কিন্তু ১৩ দিন পরেও তার উত্তর পাওয়া যায়নি। জবাব না পেয়ে মেডিকেল কাউন্সিল তার নাম মেডিকেল প্র্যাকটিশনারদের রেজিস্টার থেকে বাদ দিয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিলে সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল 52497। আজই বাতিল করা হল সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন।

অর্ধশতাব্দী আগেও নিরানন্দে পুজো কাটিয়েছিল বাঙালি! বিষাদের স্মৃতি আজও কড়া নাড়ে অনেককে

কলকাতায় ধর্ষণ মামলার পর অধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ

কলকাতায় ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। পরে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করা হয়। কিন্তু এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলে তাঁকে স্বাস্থ্য ভবনে ওএসডিপদে নিয়োগ  করা হয়, কিন্তু সিবিআই-র 'অ্যাকশনের' পর তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার কলকাতায় আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা অভিযোগ করেছেন যে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে তাদের যে ধর্না মঞ্চ সেখান থেকে তাঁবু এবং অন্যান্য সামগ্রী সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। অভিযোগের তির পুলিশের দিকে। তবে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা এই সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে। একজন  জুনিয়র ডাক্তার দাবি করেছেন, বিক্ষোভ আন্দোলনে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সাধারণ মানুষ।  সমস্ত সামগ্রী জনসাধারণের তরফে সরবরাহ করা হয়েছে। বেশ কিছু ডেকোরেটর স্বেচ্ছায় আমাদের তাঁবু, ফ্যান এবং অস্থায়ী বিছানা সরবরাহ করেছে। আরেকজন জুনিয়র ডাক্তার বলেন, 'প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম যে ডেকোরেটররা দুর্গাপূজার প্যান্ডেলের জন্য জিনিসপত্র সরিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু পরে আমরা জানতে পারি পুলিশের চাপে তারা এ কাজ করছে'।

হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ছাদের একাংশ, ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু চার জনের, মর্মান্তিক ঘটনায় বুক কেঁপে উঠবে

আরজি কর মামলায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় ছাড়াও  আরজি কর  হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই গতকাল জুনিয়র ডাক্তাররা, রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্তের সাথে আলোচনা করেন। পশ্চিমবঙ্গ  সরকার এবং জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে প্রায় দুই ঘন্টা ধরে চলা বৈঠকেও মেলেনি কোন সমাধান সূত্র। বৈঠকের পর চিকিৎসকরা বলেছিলেন যে তারা হতাশ। তারা জানিয়েছেন, 'আমরা বৈঠকে আমাদের বিষয়গুলিকে তুলে ধরেছি। কিন্তু সরকার কোন লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয় নি'। চিকিৎসকরা জানান, 'তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করতে চাইলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত আশ্বাস না পাওয়ায় ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। 

sandip ghosh RGKar medical college & hospital
Advertisment