টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ, আগুন নেভাতে গিয়ে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক Photograph: (পার্থ পাল)
Bharat Bandh:১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা ২৪ ঘণ্টার ‘ভারত বনধ’ কর্মসূচিতে বুধবার রাজ্যে দেখা গেল মিশ্র ছবি। সকাল থেকে বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে শামিল হন সিপিএম-সহ বাম-কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন স্থানে ট্রেন এবং বাস সহ সকল গণপরিবহণ পরিষেবা বন্ধ করার চেষ্টা করেন বনধ সমর্থকরা।
সিপিএম কর্মীরা একাধিক জায়গায় রাস্তায় নেমে বাস থামিয়ে বিক্ষোভ দেখান।
চন্দননগর, রানাঘাট,যাদবপুর বর্ধমান, ব্যারাকপুর, ডায়মণ্ডহারবার শিলিগুড়ি, খড়্গপুর, দূর্গাপুর সহ বহু এলাকায় ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়।
বনধে রাজ্য সচল রাখতে আগেভাগেই সতর্ক ছিল প্রশাসন। এদিন সকাল থেকে বিপূল পরিমাণ পুলিশকর্মী রাস্তায় মোতায়েন ছিল। উত্তর- থেকে দক্ষিণ আজকের বনধে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি ধরা পড়েছে। কাঁথি, হলদিয়া, ব্যারাকপুর, তুফানগজ্ঞ, কলকাতা, নামখানা সবর্ত্রই একই ছবি ধরা পড়ে।
প্রতিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত পুলিশ ।
কোথাও কোথাও বনধের সমর্থকদের সঙ্গে তীব্র বচসা ও ধস্তাধস্তির পর লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
প্রশাসনের তৎপরতায় গণপরিবহণ অনেকটাই স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়।
সরকারি কর্মীদের জন্য কড়া বার্তা
রাজ্য সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল—"সব সরকারি অফিস খোলা থাকবে। কোনও অবস্থাতেই ছুটি মঞ্জুর করা হবে না।"
🔸 শুধু হাসপাতাল ভর্তির মতো জরুরি কারণ, পরিবারে মৃত্যু, ইতিমধ্যেই অনুমোদিত মাতৃত্বকালীন বা চিকিত্সা ছুটি— এইসব ক্ষেত্রেই ছাড় থাকবে।
🔸 নবান্ন জানিয়ে দেয়, “চলমান আন্দোলন বা ধর্মঘটের জন্য ছুটি মিলবে না।”
ধর্মঘটের কারণ কী?
‘ভারত বন্ধ’-এর পিছনে ছিল কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ।
শ্রমিক ও কৃষক বিরোধী নীতি
চাকরি সংকট, মূল্যবৃদ্ধি ও চুক্তিভিত্তিক কাজের বাড়বাড়ন্ত
পাবলিক সেক্টরের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
CITU-এর রাজ্য সভাপতি অনাদি সাহু বলেন, “নতুন শ্রম কোড শ্রমিকদের অধিকারে আঘাত করছে। কেন্দ্রের কর্পোরেট ঘেঁষা নীতির প্রতিবাদেই এই বন্ধ।” আজকের এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা-সহ কৃষি শ্রমিক সংগঠনগুলিও। গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক জমায়েতের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।