tele bhola fish: আবারও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ল প্রকাণ্ড দু'টি মাছ। সেই মাছ ধরে ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্র বাজারের মৎস্য আড়তে আনতেই রীতিমতো ভিড় জমে গিয়েছিল। বিরাট আকারের ওই দু'টি মাছ লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর আগেও কাকদ্বীপের সমুদ্র থেকে এমন বড় মাপের মাছ জালে তুলেছিলেন মৎস্যজীবীরা। বিদেশের বাজারে এই সব মাছের কদর আরও বেশি বলে জানা গিয়েছে।
কাকদ্বীপের এক মৎস্যজীবীর জালে ধরা পড়েছে দুটি তেলে ভোলা মাছ। কাকদ্বীপের আড়তে সেই দুটি মাছ বিক্রি হয়েছে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকায়। জানা গিয়েছে, প্রায় ৯ দিন আগে 'এফবি অপু' নামক একটি ট্রলার কাকদ্বীপের গয়লার চক থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল।
মাছ ধরার জন্য মৎস্যজীবীরা বঙ্গোপসাগরে জাল ফেলেছিলেন। যখন তাঁরা জাল তোলেন দেখতে পান একটি ভোলা মাছ পড়েছে। পরের দিন আবারও জাল ফেলা হলে আরও একটি ভোলা মাছ ওঠে। দুটি ভোলা মাছ পাওয়ার পর মহানন্দে মৎস্যজীবীরা উপকূলে ফিরে আসেন। তাঁরা মাছ দুটিকে ডায়মন্ড হারবারের মাছের পাইকারি বাজারে বিক্রি করেছেন।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live:'মৃত্যুকুম্ভ' বিতর্কে মমতার পাশে শংকরাচার্য, যোগী সরকারকে তুলোধনা
এই বিষয়ে ট্রলারের মাঝি অমল দাস বলেন, "দুটি মাছের ওজন ছিল প্রায় ৩০ কেজি। একটি ছেলে ও একটি মেয়ে ভোলা মাছ ছিল। মেয়ে মাছটি পাইকারি বাজারে আড়াই হাজার টাকা কিলো দরে মোট ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর ছেলে মাছটি ১২,০০০ টাকা কিলো দরে তিন লক্ষ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। মূলত এই মাছের পটকা বিদেশি বাজারে লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়। ওষুধ তৈরি সহ বিভিন্ন মূল্যবান দ্রব্যে এটি প্রয়োজন হয়। তবে মেয়ে মাছের পটকা পাতলা হওয়ার কারণে দাম কম হয়। এক্ষেত্রে পুরুষ ভোলা মাছের পটকা মোটা হওয়ায় বাজারে বেশি দামে বিক্রি হয়।"
আরও পড়ুন- Kolkata Weather Today:একটানা কয়েকদিন ঝড়-বৃষ্টির দাপট দেখবে বাংলা, প্রবল এই দুর্যোগের শেষ কবে?