/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/22/pm-modi-in-bihar-2025-08-22-14-03-32.jpg)
ভোটের আগে রাজ্যে ১৩ হাজার কোটি টাকার একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোদী
PM Modi In Bihar: সামনেই বিহার বিধানসভা ভোট। এর মাঝেই বিহারে SIR নিয়ে উত্তাল দেশ। সংসদের বাদল অধিবেশনে SIR বাতিলের দাবিতে বিরোধীরা রীতিমত সরকারকে কোনঠাসা করেছে। এই আবহে বিহার সফরে এসে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি রাজনৈতিক বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শুক্রবার বিহারেরমুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে ভোটের আগে রাজ্যে ১৩ হাজার কোটি টাকার একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। সভামঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী অপারেশন সিন্দুর প্রসঙ্গে বলেন, পাকিস্তান একাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল, কিন্তু ভারত সেগুলো খড়ের মতো উড়িয়ে দিয়েছে। তিনি জোর দিয়ে জানান, “বিহারের মাটি থেকে নেওয়া প্রতিজ্ঞা কখনও বৃথা যায় না।”
আরও পড়ুন- পুজোর আগে বাংলাকে বড় উপহার মোদীর, এখন মাত্র ৩০মিনিটেই আরামে পৌঁছান হাওড়া থেকে সেক্টর ফাইভ!
এদিনই তিনি বিরোধী দল আরজেডি ও কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ করে অভিযোগ করেন, অনুপ্রবেশকারীদের তুষ্টির রাজনীতির জন্য তারা বিহারবাসীর অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। মোদীর বক্তব্য, এনডিএ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে অনুপ্রবেশকারীরা বিহারের যুবকদের চাকরি ছিনিয়ে নিতে পারবে না। শীঘ্রই একটি জনসংখ্যাতাত্ত্বিক মিশন শুরু হবে, যার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীদের দেশ থেকে তাড়ানো হবে।
সংবিধানের ১৩০তম সংশোধনী বিল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে শক্তিশালী করতেই এই আইন আনা হয়েছে। তাঁর কথায়, সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তার হলে চাকরি হারান, অথচ মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রীরা জেল থেকেও ক্ষমতা ভোগ করেন। তাই আইন অনুযায়ী, কোনও মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী গ্রেপ্তার হলে ৩০ দিনের মধ্যে জামিন না পেলে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। আরজেডি, কংগ্রেস এবং বামপন্থীরা এই বিলের বিরোধিতা করছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
কর্মসংস্থান ইস্যুতেও বিরোধীদের নিশানা করেন মোদী। তবে একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের প্রশংসা করে বলেন, তাঁর উদ্যোগে শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা এসেছে। এদিন মোদী জানান, বিকাশিত ভারত রোজগার যোজনা ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে। এর আওতায় বেসরকারি খাতে প্রথম চাকরি পাওয়া যুবকরা ১৫ হাজার টাকা পাবেন। কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রেও রাজ্যসরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদী।
আরও পড়ুন-প্রতীক্ষার অবসান! প্রকাশিত জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল, মেধাতালিকায় প্রথম দশে কারা?
আরজেডি শাসনকালের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “লণ্ঠনের রাজত্বে বিহার লাল সন্ত্রাসে ডুবে ছিল। সন্ধ্যার পর বাইরে বেরনোই দুষ্কর ছিল। অন্ধকার, মাওবাদী আতঙ্ক আর কর্মসংস্থানের অভাবে মানুষ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল।” কংগ্রেসের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এক সময় কংগ্রেসের এক মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে বলেছিলেন, বিহারিদের অন্য রাজ্যে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এই অবমাননা বিহারবাসী ভোলেনি বলে দাবি করেন মোদী। কংগ্রেস ও আরজেডিকে নিশানা করে মোদী অভিযোগ করেন, এই দলগুলি তুষ্টি নীতির রাজনীতি করছে এবং ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানোর জন্য বিহারবাসীর অধিকার কেড়ে নিয়ে অভিবাসীদের হাতে তুলে দিতে চাইছে। তিনি বলেন, “বিহারের জনগণকে সচেতন থাকতে হবে, কারা এই অভিবাসীদের সমর্থন করছে।”