/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/12/bijapur-encounter-2025-09-12-12-43-09.jpg)
ভয়ঙ্কর গুলির লড়াই! অবিশ্বাস্য সাফল্য, শীর্ষ মাও নেতা সহ নিকেশ ১০
Bijapur Encounter: ছত্তিশগড়ে আবারও নকশালবিরোধী বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবার সকালে গাড়িয়াবাঁদ জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে ১০মাওবাদী, যার মধ্যে শীর্ষ নেতা মণোজও রয়েছে। পাশাপাশি বিজাপুর জেলায় পৃথক অভিযানে আরও দু’জনকে গুলি করে খতম করেছে বাহিনী। অভিযানে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-সেতু থেকে পড়ে গেল যাত্রী বোঝাই বাস, মৃত্যুমিছিলে হাহাকার, কান্নার রোল, বুক ফাটা আর্তনাদ
বিজাপুরের পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, গাড়িয়াবাঁদের সংঘর্ষের পাশাপাশি বিজাপুরেও গুলির লড়াই হয়, যেখানে দুটি অত্যাধুনিক রাইফেলসহ প্রচুর গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান চলছে। গাড়িয়াবাঁদে সংঘর্ষস্থলে রাজ্যের বিশেষ বাহিনী এসটিএফ, এলিট কোবরা কমান্ডো মোতায়েন ছিল। অভিযানেসিপিআই (মাওবাদী)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মণোজ ওরফে মদেম বলকৃষ্ণসহ ১০ জন নকশালকে নিকেশ করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রায়পুর রেঞ্জের আইজি অমরেশ মিশ্র জানিয়েছিলেন, সংঘর্ষ চলছে রয়েছে এবং আরও মাওবাদীর খোঁজে চালানো হচ্ছে অভিযান। একই দিনে কাঁকড়–নারায়ণপুর সীমান্ত এলাকায় গেদাবেড়া গ্রামের কাছে পৃথক অভিযানে প্লাগার মিলিটারি কোম্পানি ০৫-এর এক সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে, যার মাথার দাম ছিল ৮ লক্ষ টাকা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি .৩০৩ রাইফেল ও একটি ওয়াকিটকি।
বাস্তার রেঞ্জের আইজি সুন্দররাজ পি নিরাপত্তা বাহিনীর সাহস ও দৃঢ়তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “মাওবাদ প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। এখন সময় এসেছে রক্তপাত ছেড়ে মূলস্রোতে ফেরার।” তিনি আরও সতর্ক করে দেন, যদি কেউ এখনও অস্ত্র তুলে নেয়, তবে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বহু মাওবাদী মূলস্রোতে ফিরে এসেছে। শুধু বিজাপুর জেলাতেই গত কয়েক সপ্তাহে ৩০ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করে সরকারের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় এসেছে।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us