mobile phone restricted in tarapith temple premises: তারাপীঠ (Tarapith) মন্দিরে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকা বন্ধ। সেই সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকা দিলেই দেবী মাতার একেবারে কাছে পৌঁছে যাওয়ার পথও বন্ধ করে দেওয়া হল। জেলাশাসকের কড়া হুঁশিয়ারির পর নড়েচড়ে বসেছে মন্দির কমিটি। ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে একগুচ্ছ নিয়মাবলী। শুধু পুন্যার্থী নয়, একই নিয়ম মানতে হবে সেবাইতদেরও। তবে তারাপীঠে বারবার কড়া কিছু নিয়ম চালু হলেও দিন কয়েকের মধ্যেই সেই নিয়ম ভেঙে যায়। ফলে জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া এই নিয়মও মন্দির কমিটি কতদিন মেনে চলে, সেটাই এখন দেখার।
প্রশাসনের নির্দেশে এবার থেকে তারাপীঠ মন্দির কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিদিন, ভোর সাড়ে ৫টায় সকলের জন্য মন্দিরের গর্ভগৃহ খুলে দিতে হবে। তেমনই মা তারার মধ্যাহ্নে ভোগের সময় দেড়ঘণ্টা বন্ধ থাকবে মন্দির। দেবী দর্শনের জন্য আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা যাবে না সাধারণ পুণ্যার্থীদের। ভোরে গর্ভগৃহ খোলার পর প্রথম ১ ঘণ্টা সাধারণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা পুণ্যার্থীদের পুজো গ্রহণ করা হবে। বিশেষ লাইনে পুজো দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই মন্দির কমিটির অফিস থেকে কুপন সংগ্রহ করতে হবে। তারাপীঠ মন্দির কমিটি বৈঠক করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পাশাপাশি একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে এবার থেকে শিলামূর্তি স্নানের পর ভোর সাড়ে ৫টায় সকলের জন্য খুলে দেওয়া হবে গর্ভগৃহের দরজা। প্রথম ১ ঘণ্টা সাধারণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা পুণ্যার্থীদের মন্দিরে প্রবেশ করানো হবে। পরে বিশেষ লাইনে থাকা ভক্তদের প্রবেশ করানো হবে। এভাবেই নির্দিষ্ট সময় অন্তর সাধারণ ও বিশেষ লাইনে থাকা ভক্তদের গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। মন্দিরের ভিতর দীর্ঘক্ষণ ধরে পুজো করা যাবে না।
আরও পড়ুন- Malda News: গাছ চুরির প্রতিবাদ করায় মারাত্মক 'প্রতিশোধ'! 'অপূরণীয়' ক্ষতিতে দিশেহারা ১২-১৫ কৃষক
আরও পড়ুন- Partha Chatterjee: জামিন আবেদনের শুনানি শেষ, নতুন বছরের আগেই বিরাট 'সুখবর' পেতে পারেন পার্থ
বাইরে পুজো মন্ত্রোচ্চারণের পর মায়ের দর্শন করে গর্ভগৃহ থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। গর্ভগৃহ কিংবা বারান্দায় নারকেল ফাটানো, দেবী- বিগ্রহে আলতা, অগরু দেওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে দেবীর চরণে স্পর্শ করিয়ে নিতে পারবেন ভক্তরা। মন্দির চত্বরে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই নিয়ম আগেই ছিল। কিন্তু আমাদের শিথিলতার কারণে সেই নিয়মের কিছুটা ভঙ্গ হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ এবার মেনে চলা হবে। আমরা আরও নিরাপত্তারক্ষী বাড়িয়েছি। সমস্ত নিয়ম মেনে কাজ করা হবে। আগে সাধারণ পুন্যার্থীদের ছাড়া হবে। পরে বিশেষ লাইনের পুন্যার্থীদের ছাড়া হবে।”