Birbhum news policeman arrested for beating other police personnel: পুলিশকে মারধরের অভিযোগে সাসপেন্ড পুলিশ ও সেই সঙ্গে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা নেওয়ার অভিযোগে আগেই তাঁকে ওসি পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছিল বীরভূম জেলা পুলিশ। এবার মুর্শিদাবাদের কয়েকজন পুলিশ অফিসারদের মারধরের অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁকে গ্রেফতারও করেছে মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানার পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছেন ওই পুলিশকর্মীর পরিবারের আরও ৬ সদস্য।
জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের লালাগোলা এলাকার বাসিন্দা শেখ আশরাফুল ২০১৯ ব্যাচের সাব ইনস্পেক্টর। তিনি এর আগে বীরভূমের কীর্ণাহার থানার অফিসার ইনচার্জ পদে ছিলেন। সেখানে থাকাকালীন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে তোলা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে জেলা পুলিশ গত বছরের ১১ নভেম্বর তাঁকে কীর্ণাহার থানা থেকে সরিয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর পদে বসায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের বিয়ের জন্য কয়েকদিন আগে মুর্শিদাবাদের লালবাগে নিজের বাড়িতে গিয়েছিলেন শেখ আশরাফুল। বিয়েতে অনিয়ম হওয়ায় মঙ্গলবার রাতে মা অসুস্থ হলে তাঁকে নিয়ে কৃষ্ণপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী, বাবা, ভাইরা। সেখানে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পরেন। অভিযোগ সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন আশরাফুল। ওই অবস্থাতেই হাসপাতালে ভাঙচুর শুরু করেন তিনি।
আরও পড়ুন- Hooghly News: কয়েকমাস ধরে 'হাইটেক' এই চুরি ধরতে হিমশিম খাচ্ছিল পুলিশ, অবশেষে জালে 'ব্যাটারি গ্যাং'
অভিযোগ, তিনি হেনস্থা করেন হাসপাতাল কর্মীদেরও। লালগোলা থানার ওসি অতনু হালদার, সাব ইনস্পেক্টর কল্যাণ সিংহ রায় সহ দুই সিভিক ভলন্টিয়ারকে মারধর করারও অভিযোগ ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। ওসি অতনু হালদারের গলা টিপে ধরেন। কল্যাণ সিংহ রায়ের আঙুল ভেঙে দেন। সিভিক ভলন্টিয়ারদের বাঁশ দিয়ে মারধর করেন। মুর্শিদাবাদ পুলিশ বিষয়টি বীরভূম জেলা পুলিশকে জানায়। এরপরেই তাঁকে সাসপেন্ড করে বীরভূম জেলা পুলিশ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, শেখ আশরাফুলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- Hooghly News: বচসার জেরে সহপাঠীর বুকে সজোরে ঘুষি! বেঘোরে প্রাণ খোয়াল দশম শ্রেণির ছাত্র