TMC VS BJP: বাঙালি মন পেতে নয়া গতকালই 'ট্যাকটিক্স'বদল করে বঙ্গ বিজেপি। মোদীর গলায় জয় শ্রীরাম বদলে গেল জয় মা কালী, জয় মা দুর্গাতে! এবার তা নিয়েও বিজেপিকে নিশানা তৃণমূলের।
গতকাল দুর্গাপুরে এক জনসভায় ভাষণ দেয় প্রধানমন্ত্রী মোদী। গতকালের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় আমন্ত্রণ জানাতে সকাল থেকেই দুর্গাপুরের পাড়ায় পাড়ায় ও বাজারের দোকানগুলিতে আমন্ত্রণ জানাতে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতারা। সেই আমন্ত্রণ পত্রে উল্লেখ ছিল 'জয় মা কালী, জয় মা দুর্গা'। মঞ্চে ভাষণের শুরুতেই সেই সুরই শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে।
শুক্রবার দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামের জনসভায় বাংলা ভাষাতেই বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। যা নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়তে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। বাঙালি আবেগ ছুঁতে এক লাফে জয় শ্রী রাম থেকে জয় মা কালী-তে চলে আসেন মোদী। ভাষণের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "বড়রা আমার প্রনাম নেবেন। ছোটরা ভালবাসা, জয় মা কালী, জয় মা দুর্গা। এটা শ্রাবণের পবিত্র মাস এই পূণ্য সময়ে মোদী বাংলার পূণ্যভূমিতে"। তৃণমূলের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে বলা হয়েছে, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন বক্তব্য শুরু করেন বাংলা ভাষায়, তাহলে তাঁকেও কী ডিটেশন ক্যাম্পে পাঠানো উচিৎ'।
এবার আমন্ত্রনপত্রে 'দুর্গা' বানান ভুলে বিজেপিকে কোনঠাসা করল তৃণমূল। এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে তৃণমূলের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে, "এর মধ্যে বাস্তব বা পবিত্রতা বলে কিছু নেই, তাদের কাছে, ভক্তিও লোকদেখানো। তারা তাদের রাজনৈতিক সমাবেশের পটভূমি হিসেবে মা কালীর ছবি প্রদর্শন করে। জনসভার মঞ্চ থেকে "জয় মা কালী" স্লোগান দেয়, প্রদর্শনের জন্য। তবুও অসমের একই বিজেপি সরকার ধুবড়ি-ফুলবাড়ি সেতুর কাছে একটি নদী বন্দর তৈরির জন্য ধুবড়িতে শতাব্দী প্রাচীন একটি কালী মন্দির ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্রে "মা দুর্গা" ভুল বানান করা দলটির কাছ থেকে কি সত্যিই ভালো আশা করা যায়? তারা আমাদের দেবতাদের শ্রদ্ধা করে না, তারা তাদের শোষণ করে"।
গত বুধবার কলকাতার রাজপথে বিজেপির বাঙালি বিদ্বেষের অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়ে মেগা মিছিল করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই মিছিল থেকে বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলা ভাষা বলায় গ্রেফতারি-হয়রানির অভিযোগে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। আর গতকাল সেই বাংলা ভাষাতেই বক্তব্য শুরু করে বাঙালি আবেগকে জয়ের মরিয়া চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তৃণমূলের এই আক্রমণে কিছুটা হলেও ফিকে হয়েছে সেই প্রচেষ্টা।