'বিজেপির আসন্ন নবান্ন অভিযানে ১১ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে', রাজ্যে গেরুয়া দলের এক নেতাকে ঊদ্ধৃত করে শোরগোল ফেলে দেওয়া এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তৃণমূলের মুখপত্র 'জাগো বাংলা'। রাজ্য বিজেপির ওই নেতার নাম প্রকাশ করা হয়নি এই প্রতিবেদনে। নবান্ন অভিযানে সাতটি ট্রেন ভাড়াতেই বিজেপির ২ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে জোড়াফুলের মুখপত্রে। যদিও 'জাগো বাংলা'য় প্রকাশিত এই প্রতিবেদনের বাস্তব কোনও ভিত্তি নেই বলেই পাল্টা দাবি করেছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।
আগামী মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। জেলায়-জেলায় দলের এই মেগা কর্মসূচি সফল করতে প্রচার চলছে। শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজদুমদার, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, অগ্নিমিত্রা পাল, শমীক ভট্টাচার্য-সহ দলের তাবড় নেতারা জেলায়-জেলায় ঘুরে প্রচার চালাচ্ছেন। তৃণমূল নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে গেরুয়া দল। আর তাঁদের এই কর্মসূচিতে কোটি-কোটি টাকা খরচের দাবি তৃণমূলের মুখপত্র 'জাগো বাংলা'য়।
নাম প্রকাশ না করা রাজ্য বিজেপিরই এক নেতাকে ঊদ্ধৃত করে রবিবার একটি বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে 'জাগো বাংলা'। বিজেপি তাঁদের আসন্ন নবান্ন অভিযানে নাকি ১১ কোটি টাকা খরচ করছে। নবান্ন অভিযানে জেলাগুলি থেকে কর্মী-সমর্থকদের আনতে বিজেপির তরফে ৭টি ট্রেন ভাড়ার কথা বলা হয়েছে। ওই ট্রেনগুলি ভাড়া করতেও ২ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা খরচ করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এছাড়াও জেলা থেকে বাস, ম্যাটাডোর, লরি ও অন্য যানবাহনে কলকাতায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যেতেও মোট ১ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা খরচের দাবি করা হয়েছে। রীতিমতো প্রতিটি খাত তুলে ধরে রাজ্য বিজেপিরই এক নেতাকে ঊদ্ধৃত করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে 'জাগো বাংলা'। সব মিলিয়ে আগামী মঙ্গলবারের বিজেপির নবান্ন অভিযানের খরচ দেখানো হয়েছে ১১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন- শুভেন্দু না সৌমেন? কে করবেন পুজোর উদ্বোধন? ভোটাভুটিতে সিদ্ধান্ত নিল তমলুকের ক্লাব
সপ্তাহখানেক আগে রাজারহাটে বৈদিক ভিলেজে সাংগঠনিক বৈঠক করেছে রাজ্য বিজেপি। সেই বৈঠকেও এলাহি আয়োজন করা হয়েছিল বলে দাবি। 'জাগো বাংলা'য় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বৈদিক ভিলেজে বিজেপির বৈঠকের খরচ দেখানো হয়েছে ৩ কোটি টাকা।
যদিও তৃণমূলের মুখপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে করা এই দাবি উড়িয়েছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। ভিত্তিহীন একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলেই পাল্টা সুর চড়িয়েছেন বিজেপি নেত্রী। বরং রাজ্যের শাসকদলকেই পাল্টা তোপ দেগেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- অভিষেকের শ্যালিকার বিদেশযাত্রায় বাধা, বিমানবন্দরেই নোটিস ধরাল ED
অগ্নিমিত্রা বলেন, ''এরা হাওয়ায় কথা বলে। আমিও তো বলতে পারি একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে ৫০ কোটি খরচ হয়েছে। এই অভিযোগ ভিত্তীহীন। যেমন নেত্রী তেমন তাঁদের কর্মী-নেতা। প্রতিদিন কোটি-কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে তৃণমূল নেতা ও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের বাড়ি থেকে। পুরসভার নোংরা ফেলার গাড়ি যিনি চালান, তাঁর বাড়ি থেকেও টাকা মিলছে। পশ্চিমবঙ্গের মতো উন্নয়ন আর কোনও রাজ্যে হয়নি। কোটি-কোটি টাকা এল কোথা থেকে? সেই প্রশ্নই তুলছেন বাংলার মানুষ।''