বোলপুরের শান্তিনিকেতনে তৃণমূলের ধরনা মঞ্চের সামনে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম হাজরা। শুধু ধরনা মঞ্চের সামনে যাওয়াই নয়, সেখানে থাকা তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন তিনি। রাজ্যের শাসকদলের ধরনা মঞ্চের সামনে থাকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন বিজেপি নেতা। তবে হঠাৎ করে তৃণমূলের ধরনা মঞ্চের সামনে অনুপম হাজরার পৌঁছে যাওয়া নিয়ে গুঞ্জন বেড়েছে। কেন তিনি তৃণমূলের ধরনা মঞ্চের সামনে গিয়েছিলেন? রাখঢাক না রেখে সেকথা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা নিজেই।
কেন তৃণমূলের ধর্না মঞ্চের সামনে গিয়েছিলেন অনুপম?
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না থাকার প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। শান্তিনিকেতনে মঞ্চ বেঁধে ধরনা চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। মঙ্গলবার সেই ধরনা মঞ্চের কাছেই পৌঁছে গিয়েছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরাও। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ তৃণমূলের। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আচরণে বেজায় ক্ষুব্ধ অনুপমও।
কী বললেন অনুপম হাজরা?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে অনুপম হাজরা বলেন, "তৃণমূল ১২ দিন ধরে মঞ্চ বেঁধে ভণ্ডামি করছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সবার। রবীন্দ্রনাথ কারও একার সম্পত্তি নয়। আমি তাই তৃণমূলের ধরনা মঞ্চের কাছে থাকা রবীন্দ্রমূর্তিকেই মালা দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছিলাম। তৃণমূল আজ ১২ দিন ধরে যেটা বলছে, সেই একই কথা আমি এক বছর আগে থেকে বলে আসছি।"
এদিকে, মঙ্গলবার অনুপম হাজরার তৃণমূলের ধরনা মঞ্চের সামনে যাওয়া নিয়ে জল্পনা বেড়েছে। কোনও কোনও মহল থেকে বলা হয়, অনুপম তৃণমূলের ধরনাতেই সামিল হয়েছিলেন। এই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি নেতা সাফ বলেন, "কোনও প্রশ্নই ওঠে না।"
আরও পড়ুন- ময়দানে আরও এক কেন্দ্রীয় সংস্থা! রাজ্যেরই প্রভাবশালী মন্ত্রী ও তাঁর ছেলেকে নোটিশ