/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/06/bb-2025-10-06-16-37-24.jpg)
Nagrakata attack: নাগরাকাটায় দলের সাংসদ-বিধায়কের উপর হামলার কড়া প্রতিবাদ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের।
নাগরাকাটায় ধ্বস কবলিত এলাকায় ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে সোমবার প্রাণঘাতী হামলার শিকার হয়েছেন মালদা উত্তরের BJP সাংসদ খগেন মুর্মু। মারধর করা হয়েছে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকেও। এবার এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে তুলোধনা করে ময়দানে বিজেপি। "পশ্চিমবঙ্গে আজ গণতন্ত্রের হত্যা হল।" দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে কটাক্ষ বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদীর।
সাংবাদিক বৈঠকে এদিন সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে আজ গণতন্ত্রের হত্যা হল। বাংলায় তৃণমূলের সরকার আসার পর থেকে হিংসা, আইনের অপব্যাবহার একটা সামান্য ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই সঙ্গে বাংলার সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের অসংবেদনশীলতাও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা যাচ্ছে কলকাতায় উৎসবে সামিল হয়ে নাচতে। এই দুটি ছবিই হৃদয়বিদারক।"
তাঁর কথায়, "উত্তরবঙ্গে ২৮ জনের মৃত্যু, হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। এই পরিস্থিতিতে BJP সাংসদ, বিধায়ক, নেতারা অসহায় মানুষের সেবার জন্য গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বন্যা পরিস্থিতির নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই আবহে সেবা কাজে যাওয়া আমাদের নেতা-সাংসদদের উপর যেভাবে প্রাণঘাতী হামলা হল, সেটি ভয়ানক ও দুঃখজনক। রাজ্য বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য, বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত দু'বারের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর যেভাবে হামলা হল, সেটা দেখে যে কেউ আতঙ্কিত হয়ে পড়বেন।"
তিনি আরও বলেন, "এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখে কুলুপ এঁটে থাকাটা একটা গুরুতর বিষয়। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। যেভাবে খগেন মুর্মুর উপর হামলা হল, সেটা নক্কারজনক। এর আগে সন্দেশখালিতে এমনই অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন জনজানিত সম্প্রদায়ের মহিলারা।"