/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/06/mp-2025-10-06-14-30-42.jpg)
Nagrakata attackনাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ-বিধায়কের উপর হামলা।
নাগরাকাটায় বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে প্রাণঘাতী হামলার মুখে BJP সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। দু'জনেই আহত হয়েছেন। তবে ইট-পাথরের ঘায়ে মাথা ফেটেছে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে যায় পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিজেপি নেতাদের গাড়ির উইন্ডশিল্ড ভাঙা, আর রক্তাক্ত অবস্থায় বেরিয়ে আসছেন সাংসদ খাগেন মুর্মু। বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের পোশাক ছিঁড়ে যায় এবং তিনি হালকা আঘাত পান।
এই ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব অভিযোগ করেছে, তৃণমূল কংগ্রেস ইচ্ছাকৃতভাবে এই হামলা ঘটিয়েছে যাতে বিজেপি নেতারা ত্রাণকার্যে অংশ নিতে না পারেন।
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, “উত্তরবঙ্গের বন্যা ও ভূমিধসের সময় যখন রাজ্যবাসী দুঃখে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেলিব্রিটিদের সঙ্গে নাচছিলেন। এখন জনরোষে আতঙ্কিত হয়ে তিনি তাঁর দোসরদের দিয়ে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের উপর হামলা চালাচ্ছেন।”
শুভেন্দু অধিকারী আরও দাবি করেন, “নাগরাকাটায় খগেন মুর্মুর উপর নির্মমভাবে হামলা চালানো হয়েছে, তাঁর নাক দিয়ে রক্ত বেরোয়। শঙ্কর ঘোষের গাড়িও পুলিশের সামনেই ভাঙচুর করা হয়েছে।”
এদিন আক্রান্ত বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, "দিদির সৈনিকরা এই কাণ্ড করেছে। মুখ্যমন্ত্রী রেড রোডে নাচ করছেন, আর এখানে মানুষ মরছে। এই ছবি মানুষ দেখেছে। সেই রাগ বিজেপির ওপরে তারা দেখিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর আগে ত্রাণ দেওয়ায় আক্রমণ।"
অন্যদিকে, তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য এদিনের এই হামলা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে বলেন, "হামলাকারীদের দিদির সৈনিক বলছেন...এর আগে যত হামলা হয়েছে তখন তো বলতেন এটা জনরোষ।"
আরও পড়ুন-West Bengal News Live Updates:SSC-এর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হতে পারে কবে? মিলল বড় আপডেট!
উল্লেখ্য, গত ৪৮ ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় ব্যাপক বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। নাগরাকাটা ও দার্জিলিংয়ের মিরিকে ভূমিধস ও ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্যোগে এখন পর্যন্ত ২৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।