/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/07/i0LHb7bAmLnp3dly5GOf.jpg)
News in West bengal Live: গুরুত্বপূর্ণ খবরের টাটকা আপডেট জানুন।
উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে রাস্তায় পাঁচ শ্রমিককে থামিয়ে “বাংলাদেশি” ও “অনুপ্রবেশকারী” বলে তোপ দেগেছেন বিজেপি সাংসদ। ঝড়ের বেগে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। এই ভিডিওটি ফেসবুকে আপলোড করেছেন বিজেপি রাজ্যসভা সাংসদ ব্রিজ লাল। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তিনি শ্রমিকদের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং তাদের 'দেশের জন্য বিপদ' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ব্রিজ লাল দাবি করেন, তারা বাংলাদেশি এবং এদের জন্যই দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।
“SIR নয়, এটা BJP-র নতুন ভোট–মাস্টারপ্ল্যান!”, অধীরের অভিযোগে তোলপাড় রাজনীতি
ভিডিওটি আপলোডের পর, ব্রিজ লাল বলেন, “আমি ১৯৭৭ ব্যাচের প্রাক্তন আইপিএস অফিসার, প্রাক্তন উত্তরপ্রদেশের ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ এবং এটিএস উত্তরপ্রদেশের প্রতিষ্ঠাতা। আমি জানি সন্ত্রাসবাদ কীভাবে কাজ করে। ১৯৮৪ সালে আমি অসমে পিএসি কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি এবং জানি কীভাবে নকল পরিচয় তৈরি করা হয়।” তিনি আরও দাবি করেন, এ ধরনের ব্যক্তিদের দেশের মধ্যে বসতি দেওয়া আইএসআই-এর হস্তক্ষেপের সুযোগ দেয় এবং সন্ত্রাসবাদকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে। তাই তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো দরকার'।
ভিডিওতে দেখা যায়, পাঁচ জন শ্রমিক লাইন করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এবং হাতে রয়েছে ঝাড়ু। শ্রমিকরা দাবি করেন তারা অসমের বিভিন্ন গ্রাম থেকে এসেছেন। তবে ব্রিজ লাল বলেন, “এরা সবই বাংলাদেশি…।” কিছু শ্রমিক ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেন (NRC) তে নিবন্ধিত হওয়ার বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করলেও, ব্রিজ লাল তাদের “চুপ থাকার” নির্দেশ দেন।
'বিশ্বের সামনে দেশের মাথা হেঁট করল বিজেপি', ইন্দোরে দুই মহিলা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারের শ্লীলতাহানির ঘটনায় গর্জে উঠল তৃণমূল
ওই শ্রমিকদের নিয়োগকারী সংস্থা লায়ন্স সিকিউরিটি সার্ভিসেস জানিয়েছে, তারা দৈনিক বেতনের শ্রমিক,স্থায়ী কর্মচারীরা ছুটিতে থাকায় তাদের ৩০০ টাকা মজুরিতে নিয়োগ করা হয়েছে"।
এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে কংগ্রেস নেতা এবং কর্পোরেটর মুকেশ চৌহান বলেন, “ব্রিজ লাল ২০১১-১২ সালে রাজ্যের ডিজিপি ছিলেন, তখন কোনো বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ দেখা যায়নি। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই এই ধরনের অভিযোগ উঠছে। এটি কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা ব্যর্থতারই পরিচয়।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, শ্রমিকরা ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন-এ নিবন্ধিত হলেও তা উপেক্ষা করা হয়েছে।ঘটনাটি নিয়ে দেশব্যাপী বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us