New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/02/10/As8OZmtt9NRKOcQvheZ3.jpg)
Burdwan Blast:বিস্ফোরণের পরের মুহূর্তের ছবি।
Burdwan Blast:বিস্ফোরণের পরের মুহূর্তের ছবি।
Blast in an abandoned house in Ketugram Purba bardhaman: বিরাট বিস্ফোরণে উড়ে গেল কংক্রিটের ছাদ, হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল দেওয়াল। ঘটনাস্থল এবার পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের চেঁচুড়া গ্রাম। বঙ্গে। রবিবার ভর সন্ধ্যায় এমন বিস্ফোরণের ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কাটোয়ার চেঁচুড়া গ্রামে। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। বিস্ফোরণের অভিঘাত দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পরিত্যক্ত ওই বাড়ির শৌচাগারে প্রচুর বোমা বা বিস্ফোরক পদার্থ মজুত করাছিল। তা থেকেই কোনওভাবে ওই বিস্ফোরণ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে বাড়ির শৌচাগারে এদিন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেই বাড়িতে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে কেউ থাকেন না। বাড়ির মালিকরা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। বছরে একবার তাঁরা আসেন। এাকাটি মুর্শিদাবাদ সীমানায়। ঘটনাস্থলের আশপাশের বাড়ির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই ছিল যে তাঁদের বাড়ি পর্যন্ত কেঁপে উঠেছিল। তাই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে চেঁচুড়ি গ্রামের বাসিন্দাদের।
প্রসঙ্গত, পূর্ব বর্ধমান জেলার রাজনৈতিক হিংসা কবলিত গ্রামগুলির মধ্যে অন্যতম কাটোয়া মহকুমার কেতুগ্রাম। বিগত বিধানসভা ভোটের আগের রাতেই বাইকে চড়ে বাড়ি ফেরার সময় দুস্কৃতী হামলায় খুন হন চেঁচুড়ি গ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি মিন্টু শেখ। বোমা মেরে ও কুপিয়ে তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। ওই হামলায় মিন্টুর এক সঙ্গী মিশির শেখ ওরফে নজরুল ইসলাম গুরুতর জখম হয়েছিলেন।
সেই আতঙ্ক আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি চেঁচুড়ির বাসিন্দার। তারই মাঝে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে একটা পরিত্যক্ত বাড়ির শৌচাগারের কংক্রিটের ছাদ উড়ে যাওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক তীব্র হয়েছে।
কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (SDPO) কাশীনাথ মিস্ত্রি জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। যে বাড়ির শৌচাগারে বিস্ফোরণ ঘটেছে ওটি পোড়ো বাড়ি। ১৫-১৬ বছর ধরে ওই বাড়িতে কেউ থাকেন না। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।