হুগলি জেলার রিষড়ার বাসিন্দা পূর্ণমকুমার সাউ ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন জওয়ান। সম্প্রতি পাকিস্তানের হোয়াইদির সেক্টরে সংঘটিত একটি অপহরণের ঘটনায় নিখোঁজ হয়ে যান। অপহরণের পর তাঁর স্ত্রী, মনোজিতা সাউ, তাঁর স্বামীর সন্ধানে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি, মনোজিতা সাউ জানিয়েছেন যে, তিনি এখন পাঠানকোটে যাচ্ছেন। যদিও BSF-এর দফতর থেকে তাঁকে এখনই সেখানে না গিয়ে বরং অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। তবে তিনি নিতান্তই সেখানে যেতে চাইলে যেতেই পারেন বলে জানানো হয় BSF-এর তরফে। সেই কারণেই স্বামীর ব্যাপারে খোঁজ নিতেই এবার পাঠানকোটে যাচ্ছেন পাক সেনাবাহিবনীর হাতে আটক হওয়া ভারতীয় জওয়ানের স্ত্রী।
পাক বাহিনীর হাতে আটক পুর্নমকুমার সাউয়ের স্ত্রী মনোজিতা বলেন, "আমার স্বামী একটি নিয়মিত ডিউটির সময় অপহৃত হয়েছেন। আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে ফেরত আনার জন্য সমস্ত চেষ্টা করছি। পাঠানকোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আমি সেনাবাহিনীর পরামর্শ অনুযায়ী নিয়েছি। কারণ সেখানে তার মুক্তির জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে।"
এদিকে, রিষড়ার স্থানীয়রা পূর্ণমকুমার সাউয়ের অবিলম্বে মুক্তি কামনায় নানা ধরনের প্রতিবাদ ও মোমবাতি মিছিল আয়োজন করেছে। এলাকার প্রত্যেকে এই অপহরণকে অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে এক আক্রমণ হিসেবে দেখছেন।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live:পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার তদন্তে কলকাতায় NIA, নিহত বিতান-সমীরের বাড়িতে অফিসাররা
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও মর্মাহত হয়ে জানিয়েছেন, তাঁরাও এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। দেশের সেনাবাহিনীর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছেন তাঁরাও। তাঁদের আশা, দ্রুত পূর্ণমকুমার সাউ স্বাভাবিক অবস্থায় পরিবারের কাছে ফিরবেন। স্ত্রী মনোজিতা সাউ তাঁর স্বামীর জীবনের নিরাপত্তা ও মুক্তির জন্য দেশবাসীর সহানুভূতি ও প্রার্থনা কামনা করেছেন।
আরও পড়ুন- Kolkata Weather Update: অপেক্ষার আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা, প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে তোলপাড় পড়ে যাবে কোন কোন জেলায়?
বিএসএফের তরফে ওই জওয়ানকে ছাড়াতে ইতিমধ্যেই পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গে দফায়-দফায় আলোচনা হয়েছে। অপহৃত জওয়ানকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সবরকম ভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে তাঁর পরিবারকে জানিয়েছেন বিএসএফের আধিকারিকরা। তবে এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের তরফে ওই জওয়ানকে ছাড়া নিয়ে ইতিবাচক কোনও সাড়া মেলেনি। সেই কারণেই বাড়িতে এখনও ছেলের পথ চেয়ে অপেক্ষায় বৃদ্ধ বাবা-মা। স্বামী বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁর অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী। তবে এবার তিনি নিজেই যাচ্ছেন পাঠানকোটে। সেখানে বিএসএফের কর্তাদের সঙ্গে স্বামীকে ছাড়িয়ে আনা নিয়ে সরাসরি কথা বলতে চান তিনি।