Mohammad Yunus interim govt: বাংলাদেশের রাজনীতিতে তোলপাড়!মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে এবার সরব হল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এক বিবৃতিতে ছাত্রলীগ বাংলাদেশ সরকারকে গণতন্ত্রকে ধ্বংসের মূল ষড়যন্ত্রকারী বলে 'অভিযুক্ত' করেছে। সংগঠনের দাবি, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি “গণতন্ত্রের কবরস্থানে” পরিণত হয়েছে।
ছাত্রলীগের অভিযোগ, ইউনূসের নেতৃত্বে জামাত-শিবির ও মৌলবাদী সংগঠনগুলি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসা, সন্ত্রাস ও হত্যালীলা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের উদ্দেশ্য, দেশকে একটি ব্যর্থ ও বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করা। এক বিবৃতিতে ছাত্রলীগ বলেছে, “গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইনের শাসন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার আজ বাংলাদেশে বিপন্ন । তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করে এক বিভীষিকাময় পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।”
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর হত্যা চেষ্টার প্রসঙ্গ তুলে ধরে ছাত্রলীগ বলেছে, সেদিন সংঘটিত হিংসা গণতন্ত্র, ছাত্র, পুলিশ ও জনসাধারণের হত্যাকাণ্ডের কালো ইতিহাস হয়ে থাকবে। সেই ঘটনাকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ বলে উল্লেখ করে ছাত্রলীগ একে বাংলাদেশের ইতিহাসে 'গভীর ক্ষত' বলেই চিহ্নিত করেছে।
সংগঠনের তরফে আরও বলা হয়েছে, “বর্তমানে বাংলাদেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। গণতন্ত্রের খুনিদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছে। জনগণ অসহায়, অপমানিত ও আশাহীন। তাদের মনে ছড়িয়ে পড়ছে ঘৃণা ও হতাশা।”
ছাত্রলীগ এই ‘গণহত্যা’র শিকারদের ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছে এবং এক অঙ্গীকারের কথা ঘোষণা করেছে—এই নিপীড়ন ও অন্ধকার যুগের অবসান ঘটাতে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জনগণের শক্তিকে সম্মান জানিয়ে এবং সকল শহিদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের শপথ —ন্যায়বিচার অবশ্যই মিলবে।” সবশেষে ছাত্র সংগঠনটি ৫ আগস্টকে ‘গণতন্ত্র, ছাত্র-জনতা-পুলিশ হত্যা দিবস’ হিসেবে স্মরণ করে নিহত ও আহতদের ‘শক্তি ও অনুপ্রেরণার উৎস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।