/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/16/kx5J8rcn6U7xSkpCOyNU.jpg)
aviation ministry draft rules: প্রতীকী ছবি।
building height restrictions near airport: গুজরাটের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পরে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দুর্ঘটনার পরেই একগুচ্ছ পদক্ষেপ কেন্দ্রের। বিমানযাত্রী-সহ সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থেই এবার ড্রাফট রুল তৈরি করেছে বিমান মন্ত্রক। দেশের অন্যান্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গেই আহমেদাবাদ-কাণ্ডের পর কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও চূড়ান্ত সতর্কতা নিয়েছে।
আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ড্রিমলাইনের AI-171 ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। ওড়ার ঠিক পরের মুহূর্তেই বিমানটি ভেঙে পড়ে আমেদাবাদের বিজে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হোস্টেলের উপর। ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনায় মৃত্যুমিছিলে শোকে পাথর গোটা বিশ্ব। বিমানের ২৪২ যাত্রীর মধ্যে ২৪১ জনেরই ঝলসে মৃত্যু হয়েছে।
এই আবহেই এবার বিমানবন্দরের আশেপাশের নির্মাণ নিয়ে কড়া বিধি নিষেধ আরোপ করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কারণেই ড্রাফট রুল তৈরি করেছে বিমান মন্ত্রক। 'এয়ারক্র্যাফট ডেমোলিশন অ্যান্ড অবস্ট্রাকশন রুল ২০২৫' নামে প্রস্তাবিত এই রুল গেজেট নোটিফিকেশনে চালু হলে নতুন আইন তৈরি হবে।
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ভেঙে পড়ার পরেই প্রশ্ন উঠেছিল বিমানবন্দরের আশেপাশের উঁচু ইমারত বা বহুতল নিয়ে। এবার সেই বিমানবন্দর সংলগ্ন উঁচু ভবন তৈরিতে রাশ টানতে বড় পদক্ষেপ অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের।
কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও ইতিমধ্যে একাধিক তৎপরতা গ্রহণ করেছে। জানা গিয়েছে, এয়ারপোর্ট থেকে ২০ কিলোমিটার সীমানার মধ্যে কোনও বহুতল তৈরির আগে বাধ্যতামূলকভাবে এয়ারপোর্ট অথরিটির ছাড়পত্র নিতে হবে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন প্রতিটি পুরসভাকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এমনিতেই বিমানবন্দরের আশেপাশে বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে একাধিক ছাড়পত্র নিতে হয়। আগে বিমানবন্দরের আশেপাশে সর্বোচ্চ ৪৫ মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় বাড়ি তৈরির অনুমতি দেওয়া হতো। তবে এবার বিমান মন্ত্রকের নতুন বিধিতে সেই উচ্চতাতেও নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে সূত্রের খবর।
সূত্রের আরও খবর, এবার বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে গজিয়ে ওঠা নির্মাণ সরানোর ক্ষেত্রে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের হাতেই কর্তৃত্ব তুলে দিতে চায় কেন্দ্র। সেই কারণেই নতুন এই ড্রাফট রুল আনা হয়েছে। এখন বিমানবন্দরের আশেপাশে বেআইনি কোনও উঁচু নির্মাণ ভাঙতে DGCA এবং স্থানীয় প্রশাসনের উপরেই পুরোপুরি নির্ভর করতে হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। তবে নয়া নিয়ম লাগু হয়ে গেলে বিমানবন্দরের আশেপাশে বেআইনি নির্মাণ সরাতে বা ভাঙার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নোটিশ পাঠাতে পারবেন বিমানবন্দরের অধিকর্তাই।
আরও পড়ুন- Hilsa:উঠছে টন টন ইলিশ, দিন কয়েকেই রূপোলি শষ্যের দাম কোথায় নামতে পারে জানেন?
দু'মাসের মধ্যেই নির্মাণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ওই সংস্থাকে জমা দিতে হবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা এমনকী সেই নির্মাণ ভেঙে ফেলার জন্য সুপারিশ পর্যন্ত করতে পারবেন বিমানবন্দরের অধিকর্তা।