conjoined twin birth: এক মাথা, চার হাত এবং চার পা—এমনই অদ্ভুত দর্শন এক শিশুর জন্মে শোরগোল পড়ে গেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। ডাক্তারি ভাষায় একে বলা হয় কনজয়েন্ট টুইন বা সিয়ামিজ যমজ শিশু। তবে জন্মের কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটি অত্যন্ত বিরল এক ঘটনা, প্রতি দুই লক্ষে মাত্র একজন শিশুর এমন জন্ম হয়।
সূত্র অনুযায়ী, নাদনঘাট থানার সাহাজাদপুর এলাকার ১৯ বছর বয়সী গৃহবধূ বিভা মণ্ডল গর্ভবতী অবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে দেখা যায় তাঁর গর্ভে একটি শিশুর মাথা একটি হলেও হাত ও পা চারটি করে। পাশাপাশি শিশুর মাথায় একটি টিউমারও দেখা যায়। চিকিৎসকরা ঝুঁকির আশঙ্কা করে প্রসূতির প্রাণ বাঁচাতে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন।
শুক্রবার বিভা মণ্ডলকে ভর্তি করা হয় ভাতারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শনিবার দুপুরে সিনিয়র গাইনিকোলজিস্ট কৃষ্ণপদ দাস অস্ত্রোপচার করে শিশুটির প্রসব করান। তখনই চিকিৎসকরা শিশুটির অস্বাভাবিক শারীরিক গঠন দেখে হতবাক হয়ে পড়েন।
চিকিৎসক কী বললেন?
ডাঃ কৃষ্ণপদ দাস বলেন, “এই ধরনের কনজয়েন্ট টুইন জন্মানো খুবই বিরল। জাইগট বিভাজনের শেষ ধাপে এরূপ রূপান্তর ঘটে। দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া ও আফ্রিকায় এই ধরনের জন্ম বেশি দেখা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশু জন্মের পর বাঁচে না।”
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্বামীর প্রতিক্রিয়া
বেসরকারি হাসপাতালের ম্যানেজার বাপি পাকড়ে বলেন, “আমি বহু বছর ধরে এখানে আছি, কিন্তু এত বিরল ধরনের শিশু জন্মাতে কখনও দেখিনি।” তবে বিভা মণ্ডল সুস্থ রয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। আপাতত তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
প্রসূতির স্বামী জয় মণ্ডল বলেন, “স্ত্রী সুস্থ আছে, এতেই আমি আপাতত স্বস্তিতে। তবে ঘটনাটি যে মানসিকভাবে আমাদের কতটা নাড়িয়ে দিয়েছে, তা ভাষায় বোঝানো যাবে না।” এই বিরল ঘটনা নিয়ে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। চিকিৎসক মহলেও ঘটনার গুরুত্ব নিয়ে চলছে আলোচনা