/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/20/hajrat-2025-08-20-10-28-19.jpg)
Embroidery livelihood Bengal: বাড়িতে কাজে ব্যস্ত হযরত মণ্ডল।
Embroidery livelihood Bengal:হিন্দু ধর্মপ্রাণ মানুষ মন্ত্রজপের জন্য ব্যবহার করেন ১০৮ পুঁতির মালা বা জপমালা। এই মালা সুরক্ষিত রাখতে ব্যবহৃত হয় ছোট একটি ব্যাগ বা জপমালার থলি। বহু বছর ধরেই পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর সিংহজুলি গ্রামের মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা হযরত মণ্ডল ও তাঁর পরিবার সূচিকর্মের মাধ্যমে এই জপমালার থলিতে হিন্দু দেব-দেবীর রূপ ফুটিয়ে তুলছেন।
জগন্নাথ, বলরাম, শুভদ্রা, গৌর-নিতাই, রাধাকৃষ্ণ, মাধবসহ বহু দেব-দেবীর ছবি সূচিকর্মে ফুটে উঠছে তাঁদের নিপুণ হাতে। এই কাজেই রোজগারের পাশাপাশি অন্যদেরও কর্মসংস্থানের পথ দেখাচ্ছেন হযরত। তাঁর স্ত্রী রুপিয়া বিবি সহ গ্রামের আরও বহু মহিলা—আনোয়ারা, রুনা খাতুন, শাহানারা প্রমুখ—এই কাজে যুক্ত হয়ে স্বনির্ভর হয়েছেন।
হযরত মণ্ডল জানান, সূচিকর্মের প্রশিক্ষণ নিতে তিনি দিল্লি গিয়েছিলেন। ফেরার পর মায়াপুর ইসকনের এক সন্ন্যাসীর অনুরোধে তিনি প্রথম জপমালার থলিতে দেবদেবীর রূপ আঁকতে শুরু করেন। তাঁর কাজ দেখে মুগ্ধ হয়ে সন্ন্যাসীরা তাঁকে আরও বরাত দেন। তারপর থেকেই এটিকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি।
আরও পড়ুন- Kolkata Weather Update:ভারী বৃষ্টির দোসর হবে ঝোড়ো হাওয়া, আজ কাঁপানো ঝড়-জল কোন জেলাগুলিতে?
কাজী নজরুল ইসলামের সম্প্রীতির বাণী— “মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু-মুসলমান”— যেন বাস্তব রূপ পেয়েছে হযরতের জীবনে। তিনি বলেন, “ইসকনের সন্ন্যাসী হোন বা আমরা, হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই। সম্প্রীতিই আমাদের ভিত্তি।” সূচিকর্মের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগে যেমন ফুটে উঠছে ধর্মীয় সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত, তেমনই গ্রামের বহু পরিবার খুঁজে পাচ্ছে নতুন জীবিকার রাস্তা।