Burdwan Hospital is sending a batch of injections to the laboratory due to the illness of pregnant women: নেই প্রত্যাশিত গুণামান। কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিডিএসসি-র পরীক্ষায় ডাহা ফেল করেছে ১৪৪ টি ওষুধের ব্যাচ। এর মধ্যে প্যারাসিটামল,অ্যামোক্সিলিন-নরফ্লকসোসিনের মত একাধিক অ্যান্টোবায়োটিক ওষুধ তো রয়েইছে। এছাড়াও রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের রিঙ্গার্স ল্যাকটেটের ১ টি ব্যাচের নাম। এ নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলার মাঝেই বিশেষ ব্যাচের কিছু ইঞ্জেকশন পরীক্ষাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে রয়েছে সোমবার রাতে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের কয়েকজন প্রসূতির অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে প্রসূতিদের পরিবারের সদস্য জয়দেব মণ্ডল, শেখ রহমতুল্লা, সুমন দাস প্রমুখরা জানান, সন্তান প্রসব করার পর তাঁদের রোগীরা প্রসূতি বিভাগে ভর্তি আছেন। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর তাঁরা সকলে ভালোই ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় প্রসূতিদের একসঙ্গে তিনটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তারপর থেকেই একের পর এক প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের কাঁপুনি হতে থাকে। জ্বরও আসে, খিচুনি শুরু হয়।
এই বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর ঠিক কী কারণে প্রসূতিরা অসুস্থ হয়ে
পড়লেন তার তদন্তে নেমে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারণ, ইঞ্জেকশনগুলি দেওয়ার পরেই প্রসূতিতের অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়টি হাসপাতাল
কর্তৃপক্ষকেও ভাবিয়ে তুলেছে। যে ব্যাচের ইঞ্জেকশন প্রসূতিতের দেওয়া হয়েছিল সেগুলি আপাতত বাতিল করে বিকল্প ইনজেকশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্ধমান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, ওই সংশ্লিষ্ট ব্যাচের ইঞ্জেকশনে কোনও ত্রুটি আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে ইঞ্জেকশনের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়েছে।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live:একমাত্র ছেলের চিকিৎসার জন্য শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করেছিলেন বাবা, কসবাকাণ্ডে নয়া তথ্য
এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রসঙ্গে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ্য ডা: মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেন, "সোমবার রাতে
৫ থেকে ৭ জন প্রসূতির কিছু সমস্যা হয়েছিল। তাঁদের চেস্ট ডিস-কমফর্ট হচ্ছিল। সম্ভবত এটা অ্যালার্জিটিক রি-অ্যাকশন। তবে এদিন অবশ্য
প্রসূতিরা সকলেই সুস্থ আছেন।" তিনি আরও বলেন, “রোগীনিদের অনেকগুলি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল। তাই ঠিক কোন ওষুধ থেকে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হয়েছিল তা জানতে তদন্ত করা হবে।" অন্যদিকে, প্রসূতির আত্মীয়ারা এদিন বলেন, "সোমবার রাতে আমরা খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম। এখন সুস্থ আছে প্রসূতি। আমরা চাই, ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর কী কারণে প্রসূতিরা অসুস্থ হয়ে পড়ল তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।"
আরও পড়ুন- Puri Jagannath Temple: অলৌকিকতায় ঘেরা পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির! শিহরণ জাগানো ৭ রহস্যকাহিনী জানুন