ফুল-চন্দন-বেলপাতা সাজিয়ে শায়িত রয়েছে দেহ। শেষ যাত্রায় খাটিয়ার পাশে জ্বলছে ধূপ-ধুনো, চলছে হরিনাম সংকীর্তন। প্রিয়জন বিয়োগের মতোই হনুমানের মৃত্যুতে শোকে কাতর গ্রামবাসী।
ঘটনাটি ঘটেছে গলসির ২ নং ব্লকের গোহগ্রামের বাবুপাড়ায়। শিবচতুর্দশীর দিনে একটি হনুমানের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে গ্রামে। জানা গিয়েছে, গ্রামের এক বাড়ির ছাদ থেকে আর এক বাড়ি ছাদে লাফিয়ে লাফিয়ে গাছে গাছে ঘুরছিল হনুমান। ক্ষয়ক্ষতিও তেমন করেনি হনুমানটি। কিন্তু সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ গ্রামের রাধা-দামোদর মন্দির থেকে তপন চক্রবর্তীর বাড়ির ছাদে লাফাতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে উপরে পড়ে যায় হনুমানটি। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
চলল নাম-সংকীর্তন।
আরও পড়ুন: ৩০০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার, স্নান করল তাজমহল
এদিকে হনুমানের এমন আকস্মিক মৃত্যুর খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় জমান। গ্রামবাসীদের একাংশ ঠিক করেন কবর নয়, হনুমানের সৎকার করবেন তাঁরা। শুরু হয় চাঁদা তোলার কাজ। পুরোহিত এবং কীর্তনের দল ডেকে চলে হরিনাম সংকীর্তন।
আরও পড়ুন: বিরল প্রজাতির সাদা ধবধবে ডলফিন উদ্ধার ইছামতীতে
এরপর পবনপুত্রের দেহ কাঁধে তুলে নিয়ে গোটা গ্রাম প্রদক্ষিণ করা হয়। রীতিনীতি মেনে রাধা-দামোদর মন্দিরের সামনে হনুমানটিকে সমাধিস্থ করা হয়। পুরোহিত অবনী চক্রবর্তী, তপন চক্রবর্তীরা বলেন, “ধর্মীয় আচার নেমেই সমাধি করা হয়েছে হনুমানটিকে।” গ্রামবাসী পার্থ চক্রবর্তী, বিপিন মন্ডল ও স্বরূপ ঘোষেরা জানান, “প্রবীণদের কাছে শুনেছি, কোন গ্রামে হনুমান মরলে সেই গ্রামের মানুষের মঙ্গল হয়। তাই আমরা সিন্ধান্ত নিয়েছে, ওর সমাধিস্থলে গ্রামবাসীদের তরফে একটি হনুমান মন্দির নির্মাণ করার।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন