TMCP: ছাত্র-ভোটই হয়নি দীর্ঘদিন, স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে TMCP-র 'জোড়া সভাপতি-সম্পাদক' পদ চর্চায়

TMCP-SFI: এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্র সংগঠন SFI। যদিও এই প্রচতারে নেপথ্যে ষড়যন্ত্রেরও দাবি উঠেছে।

TMCP-SFI: এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্র সংগঠন SFI। যদিও এই প্রচতারে নেপথ্যে ষড়যন্ত্রেরও দাবি উঠেছে।

author-image
Pradip Kumar Chattopadhyay
New Update
Burdwan University two presidents, two secretaries, Trinamool Chhatra Parishad controversy,বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই সভাপতি, দুই সম্পাদক, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বিতর্ক

স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন এই ঘটনাটি দারুণ চর্চায় উঠে এসেছে।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মাত্র ছাত্র সংসদের সভাপতি দু’জন, সাধারণ সম্পাদকও দু’জন। এমন আশ্চর্য্য কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই পড়ে গিয়েছে শোরগোল। আরও আশ্চর্য্যের বিষয় হল, দীর্ঘদিন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন না হওয়ায় কোনও নির্বাচিত ছাত্র সংসদও থাকার কথাই নয়। তবুও জোড়ায়-জোড়ায় রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের 
ছাত্র সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া মহলেও দারুণ চর্চায়।

Advertisment

এই ভূতুড়ে কমিটি দুটি শুধু আছে তাই নয়, এরা দুটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা 'মুক্তধারা ২০২৫'। তারই বিজ্ঞপ্তি। এতেও বিস্মিত খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদেরই অনেকে। অনেকেই এটাকে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রকাশ বলে দাবি করেছেন। তথাকথিত ছাত্র সংসদের তালিকার একটি অনুযায়ী সভাপতি শুভজিৎ পুরকাইত, আর সাধারণ সম্পাদক সাত্বিক সাহা। অন্য তালিকা অনুযায়ী সভাপতি মণিকাঞ্চন মণ্ডল এবং সাধারণ সম্পাদক অভিষেক নন্দী। এদের নামে 'প্যাড' পর্যন্ত ছাপানো হয়েছে। 

বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে ছাত্র ছাত্রীদেরই একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র সোনু পাশওয়ান বলেন, "আমরা জানি দীর্ঘদিন ছাত্র সংসদের নির্বাচনই হয়নি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাহলে ছাত্র সংসদের জিএস আবার থাকবে কোথা থেকে? সংসদ অফিস বন্ধই থাকে। এই দুটো প্যাড কীভাবে চলছে জানি না।"

Advertisment

আরও পড়ুন- Kasba college gang rape:কসবার কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণ 'ছোট্ট ঘটনা', মমতার ঘনিষ্ঠ দাপুটে মন্ত্রীর মন্তব্যে তোলপাড়

যাদের নামে এই প্যাড চলছে, তাঁদের একজন সোসিওলজির প্রথম বর্ষের ছাত্র সাত্বিক সাহা। একটি কমিটির তিনিই জিএস অর্থাৎ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, "এটা ষড়যন্ত্র। গণতান্ত্রিক পথে না পেরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে বদনাম করছে SFI। আমি আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবছি। আগে আমি রাজ কলেজের ছাত্র ইউনিটের সভাপতি ছিলাম। এখন আমি কোনও পদে নেই।" অন্য গোষ্ঠীর ছাত্র নেতা খোন্দকার আমিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু বলতে অস্বীকার করেন।

আরও পড়ুন- weekend getaways:উইকেন্ড ট্রিপের জমাটি মজা! বর্ষায় মনের আরাম নিতে পাড়ি জমান কলকাতার কাছের এই প্রান্তে

অন্যদিকে এই ঘটনায় সুর চড়িয়েছে SFI। সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় লোকাল কমিটির সদস্য সোমনাথ মণ্ডল বলেন, "এটা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনা। এর জন্য ছাত্রছাত্রীরা বিভ্রান্ত হবেন কেন? কর্তৃপক্ষ ছাত্র সংসদের রুমে তালা মারুন। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হোক। কিন্তু অবৈধ ছাত্র সংসদের মাধ্যমে তা করা যাবে না।"

SFI TMCP The University of Burdwan