শপথ নিতে নাকি গড়িমশি হচ্ছিল। তার জন্য় অভিযোগ করছিল কংগ্রেস। রাজ্য় বিধানসভার অধিবেশনেই বসতে হল না। কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস তৃণমূল বিধায়ক হিসাবেই যোগ দেবেন রাজ্য় বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশনে। অর্থাৎ বিধানসভায় বাম-কংগ্রেসের শূন্য় দশা কেটেও কাটল না। বায়রন বিশ্বাসের জয়ের তিন মাসের মধ্য়েই জোড়াফুল শিবিরে যোগে রাজ্য়ে বাম-কংগ্রেস জোট ধাক্কা খাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্য়াপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে তৃণমূল প্রার্থী পরাজিত হয়েছিল বাম কংগ্রেসের জোট প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের কাছে। সোমবার তৃণমূলের নবজোয়ারে ভেসে মুর্শিদাবাদ থেকে ঘাটালে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন বায়রন। এই ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য়-রাজনীতি। অধ্য়াপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, 'এর ফলে রাজ্য স্তরে বাম-কংগ্রেস জোট ধাক্কা খাবে। এই জোট নিয়ে রাজ্য়ে মানুষের যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল সাগরদিঘি নির্বাচনের পর সেটাতে অবশ্যই ধাক্কা খাবে। বাম-কংগ্রেস বিকল্প ফোর্স হিসাবে উঠে আসছিল। বায়রনের তৃণমূলে যোগ তাতে অবশ্যই প্রভাব পড়বে। মানুষ কীসের ভিত্তিতে একে বিশ্বাস করবে? ফলে শেষ বিচারে বাম ও কংগ্রেসের কম্বিনেশন অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নিশ্চিতভাবেই ক্ষতি হবে।'
বিধানসভায় বিজেপি ছাড়া একমাত্র বিরোধী বিধায়ক রয়েছেন আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁকে অনেক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে নওশাদ দাবি করেছিলেন। অন্য়দিকে বিজেপির প্রায় ৬ জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বাম-কংগ্রেস তো শূন্য় দশাই কাটাতে পারছে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, 'তৃণমূলের রাজনীতিতে এরাজ্য়ে বিরোধীশূন্য় অবস্থান চলতে থাকবে। এটা ক্রমাগত চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। তবে বামেদের বিধায়ক হলে ভাঙা কঠিন ছিল। কংগ্রেস ও তৃণমূলের আদর্শগত ফারাক খুব বেশি নেই। তৃণমূল থেকে বিজেপির বিধায়ক যাঁরা হয়েছেন তাঁদের মধ্য়েও আদর্শের ফারাক বেশি নয়। কিন্তু আদর্শগত ভাবে আরএসএস থেকে আসা জনপ্রতিনিধিকে তৃণমূলে আনা কঠিন হবে।'
আরও পড়ুন- ফের বিধানসভায় শূন্য হাত, তৃণমূলে যোগ দিলেন বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস
আরও পড়ুন- বায়রনের ডিগবাজি! অধীর বললেন- ‘অজুহাত দিও না, তুমি কেনাবেচায় নেমেছ’
আরও পড়ুন- ‘এক বোতামেই ৪ এমপি’, বায়রন ঘরে তুলে বার্তা অভিষেকের