/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/17/election-commission-of-india-news-2025-2025-08-17-15-49-30.jpg)
SIR নিয়ে হট্টোগোলের মধ্যে বিরোধীদের যোগ্য জবাব দিল নির্বাচন কমিশন
EC ON SIR: 'বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, ভোট চুরি শব্দে সংবিধানের অপমান', SIR নিয়ে হট্টোগোলের মধ্যে বিরোধীদের যোগ্য জবাব দিল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এদিন সাফ জানিয়ে দেন, 'আমরা কখনই আমাদের দায়িত্ব থেকে পিছু হটব না'।
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগে সরব বিরোধী 'ইন্ডিয়া জোট'। একদিকে যখন লোকসভার বিরোধী দলনেতা, রাহুল গান্ধী বিহারে ভোটার অধিকার যাত্রা শুরু করেছেন তখনই রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে কমিশনের বিরুদ্ধে ভোট চুরির যাবতীয় অভিযোগকে খারিজ করে এই ধরণের অভিযোগ ভারতীয় সংবিধানের উপর আক্রমণ বলে তোপ মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের।
আরও পড়ুন- প্রকাশ্যে সরকারি আধিকারিককে 'ধমক' শাসক বিধায়কের, ভিডিও পোস্ট করে গর্জে উঠলেন শুভেন্দু অধিকারী
পক্ষপাতের অভিযোগ উড়িয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এদিন বলেন, "কমিশন কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষপাতিত্ব করে না। রাজনৈতিক দল কমিশনের থেকেই রেজিস্ট্রেশন পায়। SIR প্রক্রিয়ায় সব রাজনৈতিক দলের BLA-রা অংশ নিয়েছেন। খসড়া তালিকা সব রাজনৈতিক দলকে দেওয়া হয়েছে। কমিশনের কাছে সবাই সমান। ইতিমধ্যে বিহারের ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ১ লা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে সংশোধনের কাজ। ওই দিন পর্যন্ত সংশোধনের সুযোগ রয়েছে।বিহারের সাত কোটি ভোটার কমিশনের সঙ্গে রয়েছে। ভ্রম ছড়ানোর চেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলির। ভোট চুরির মত শব্দ প্রয়োগ করে সংবিধানের অপমান করার চেষ্টা করছে কিছু দল। ভোটার তালিকা নিয়ে ২৮,৩৭০ অভিযোগ জমা পড়েছে। ভোটাররা পাশে থাকলে কমিশনের ভূমিকায় কীভাবে প্রশ্ন উঠছে'?
'কমিশনের কাছে সব রাজনৈতিক দল সমান', বলে উল্লেখ করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, 'নির্বাচন কমিশন কখনও তার দায়িত্ব থেকে পিছপা হবে না। সকল রাজনৈতিক দলের দাবি অনুযায়ী, বিহারে একটি বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) শুরু করা হয়েছে। ১.৬ লক্ষ BLA একসঙ্গে একটি খসড়া ভোটার তালিকা তৈরি করেছে। এর কপি সকল রাজনৈতিক দলকে দেওয়া হয়েছে। যখন এই তালিকা তৈরি করা হচ্ছিল, তখন সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা তাতে স্বাক্ষর করেছিলেন। কমিশনের কাঁধে বন্দুক রেখে যারা রাজনীতি করছেন তাদের উদ্দেশ্যে কমিশন ইতিমধ্যে কড়া বার্তা দিয়েছে। কমিশন তার অবস্থানে অটল এবং নির্ভীকভাবে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে। আইন অনুসারে, ৪৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে নির্বাচনী আবেদন দাখিল করা যেতে পারে। ভোট চুরির মতো 'ভুল শব্দ' ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা, ভারতের গণতন্ত্রের অপমান।
আরও পড়ুন-'মৃত্যুর দায় মুখ্যমন্ত্রীকেই নিতেই হবে',মমতাকে 'আগুনে আক্রমণ' প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, এদিন আরও বলেন, 'এসআইআর সফল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ'। বিহারে SIR নিয়ে মোট ২৮,৩৭০টি দাবি এবং আপত্তি জমা পড়েছে। বিহারের সাত কোটি মানুষ কমিশনের সঙ্গে রয়েছেন। কমিশনের প্রশ্ন এত মানুষ যখন এই প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকে তখন ভোট চুরি কীভাবে সম্ভব? বাংলায় কবে SIR শুরু হতে চলেছে এই প্রশ্নে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, " আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যথা সময়েই সেই দিনক্ষণ সামনে আনা হবে'।