স্কুলে ছুটি নিয়ে এবার রাজ্যের হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। স্কুলে ছুটি নিয়ে গত সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিল বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি নামে একটি সংগঠন। তাঁদের যুক্তি ছিল, পরিস্থিতি পর্যালোচনা না করেই রাজ্য সরকার স্কুলগুলিতে টানা ৪৫ দিনের ছুটি দিয়েছে। এক্ষেত্রে পড়ুয়াদের পড়াশোনার ক্ষতির দিকটি তুলে ধরেছিল সংগঠনটি। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার রাজ্যের হলফনামা তলব প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের। আগামী ২০ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
দিন কয়েকের দাবদাহে পুড়েছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। পড়ুয়াদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসে রাজ্য সরকার। গত ২ মে থেকে স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে। এই ছুটি চলবে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত। এদিকে, রাজ্য সরকার স্কুলে টানা দেড় মাসের ছুটি ঘোষণার পরপরই আবহাওয়ার বদল হয়।
আরও পড়ুন- গলায় ফাঁসেই মৃত্যু কাশীপুরের BJP যুবনেতার, হাইকোর্টে জমা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট
ঝড়-বৃষ্টিতে দাবদাহের দহনজ্বালা জুড়িয়েছে। রাজ্য সরকার স্কুলে ছুটি দিলেও বেসরকারি স্কুলগুলি খোলাই ছিল। এতেই ক্ষুব্ধ হন শিক্ষা দফতরের কর্তারা। তড়িঘড়ি বিকাশ ভবনের নির্দেশ পৌঁছে যায় বেসরকারি স্কুলগুলিতে। অফলাইনে নয়, প্রয়োজনে অনলাইনে চলতে পারে লেখাপড়া, রাজ্যের তরফে এমন বার্তা পেয়ে বেসরকারি স্কুলগুলিতে তালা ঝোলে।
আরও পড়ুন- Cyclone Asani: গভীর নিম্নচাপে পরিণত ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’, প্রবল বৃষ্টিতে ভাসতে পারে এই জেলাগুলি
আবহাওয়ার বদল হলেও রাজ্যের ছুটি-নির্দেশ বহাল কেন? করোনার জেরে এমনিতেই টানা দু'বছর ধরে বন্ধ ছিল স্কুল, কলেজ-সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিকেয় উঠেছিল লেখাপড়া। এবার মহামারীর পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে ফের একবার দরজা খুলেছে শিক্ষালয়ের। পড়ুয়ারা ক্লাসে ফিরেছে।
এই পরিস্থিতিতে একটানা দেড় মাসের গরমের ছুটি আদতে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার দারুণ ক্ষতি পড়বে বলে মনে করে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি নামে সংগঠনটি। রাজ্য সরকারের ছুটি-নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে সংগঠনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে। সেই মামলার শুনানিতেই এবার রাজ্যের হলফনামা তলব উচ্চ আদালতের।