Calcutta High Court bans entry of political figures into Jadavpur University: এবার থেকে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও ধরনের কর্মসূচি করা যাবে না, বৃহস্পতিবার একথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত ১ মার্চ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুমুল অশান্তি তৈরি হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ভোট করানো নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন একদল পড়ুয়া। পরে তাঁরাই শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে প্রবল বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। সেদিনের অশান্তির ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতে আজ নজিরবিহীন নির্দেশ উচ্চ আদালতের।
এই মামলায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, "২০১৪ থেকে যাদবপুর থানায় একাধিক অভিযোগ। এরপরেও কেন পুলিশের সাহায্য চাইল না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ? বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষীদের কার্যকারিতা প্রশ্নের মুখে।" এরই পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গত ১ মার্চ যাদবপুরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত। এক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, "পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক নয় জেনেও কেন আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করলেন শিক্ষামন্ত্রী? এটা আদালতের কাছে স্পষ্ট নয়। " তিন সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি হাইকোর্টে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। এদিন মামলাকারীর আইনজীবী তাঁর আবেদনে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয়েছে যে সেটা বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে রাজ্য পুলিশের কর্মী বা স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প তৈরির আর্জি জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live:কার নির্দেশে এত বড় জালিয়াতি? নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় আদালতে বিস্ফোরক দাবি CBI-এর
বৃহস্পতিবার এই মামলায় রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তি- বিশৃঙ্খলার ঘটনা রুখতে কলকাতা হাইকোর্ট যা নির্দেশ দেবে তা রাজ্যের তরফে পালন করা হবে বলে তিনি জানান। তবে এদিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কল্যাণ।
আরও পড়ুন- Student's Union Election:'কলেজে ভোট না হলে ক্ষোভ বাড়ে ছাত্রদের', বললেন প্রধান বিচারপতি, রাজ্যকে কী নির্দেশ?
এরপরেই এই মামলায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, "বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের কোনও ক্ষমতা থাকে না। কেন আপনারা রাজ্যের পুলিশের সাহায্য নিতে চান না?" প্রধান বিচারপতির এ প্রশ্নের উত্তরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আইনজীবী রিজু ঘোষাল বলেন, "আমরা চিঠি লিখেছি উচ্চ শিক্ষা দফতরকে।" সব পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বেনজির নির্দেশ শোনান প্রধান বিচারপতি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবার থেকে কোনও রাজনৈতিক নেতা সেমিনার বা মিটিংয়ে অংশ নিতে পারবেন না বলে তিনি জানিয়েছেন।